পটুয়াখালী প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় মাদ্রাসার শিশু শিক্ষার্থী জাকারিয়া হাওলাদার (১৪) কে বেধড়ক পেটানো হয়েছে। শুধু তাই নয়,তাকে নির্দয়ভাবে পেটানোর পরে পায়ে শিকল দিয়ে সকাল থেকে রাত অবধি বেধে রাখা হয়েছে। মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের আরামগঞ্জ গ্রামের ‘ আরামগঞ্জ হাজী তোজাম্বর আলী খান নুরানি হাফেজিয়া বহুমুখি মাদ্রাসা’র’ শিক্ষক ক্বারী নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থীর বাবা সিদ্দিক হাওলাদার কলাপাড়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগে বলা হয়েছে, গত দুই বছর ধরে তার ছেলে ঐ মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে আসছে। ৮ সেপ্টেম্বর সকাল ১০ টার দিকে মাদ্রাসার পেছনে দুষ্টুমির ছলে ১০ বছর বয়সী কন্যা শিশু আয়মনকে দৌড়ানি দেয়। এ কারণে শিক্ষক নজরুল ইসলাম জাকারিয়া কে বেধড়ক জোড়া বেত দিয়ে বেধড়ক মারধর করে শিকলে বেধে রাখে। তার পিঠে বেত্রাঘাতের ক্ষতচিহ্ন ফুটে আছে।
পরদিন সকালে খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় ছেলে কে উদ্ধার করে কলাপাড়া হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তার ছেলে মানসিকভাবে আতংকিত হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষক ক্বারী মো. নজরুল ইসলাম জানান, ওই ছাত্র মাদ্রাসার অন্য ছাত্রদের মারধর করত। শিশু কন্যাদের উত্যক্ত করে আসছিল। তার মা-বাবাকে অনেক বার বলা হয়েছে। সবশেষ এক কণ্যা শিশুকে অশ্লীলভাবে উক্তি করে।
অন্য শিশুরা প্রতিবাদ করায় তাঁদেরকেও জাকারিয়া মারধর করে। এর কারণে তাকে মাদ্রাসায় নিয়ে শাসন করা হয়েছে। কয়েক টা পিটান দেওয়া হয়েছে। তাঁকে তার বাবা- মায়ের কাছে হস্তান্তর করার জন্য একটা কক্ষে আলাদা করে রাখা হয়েছে। এর বেশি কিছু নয়। কলাপাড়া থানার ওসি মোহাম্মদ জুয়েল ইসলাম জানান, বিষয় টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।