ভান্ডারিয়া প্রতিনিধি: পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া পৌরসভার মেয়র পদে উপনির্বাচনকে ঘিরে বাড়ছে উত্তেজনা। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখা এক প্রজ্ঞাপনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. ফাইজুল রশিদ খান রব্বানির প্রার্থিতা বাতিলের ঘোষণা দিয়েছে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও রিটার্নিং অফিসারের পাঠানো প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২-এর ধারা ১৪ অনুযায়ী এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এই ঘোষণার পর থেকেই স্থানীয় জনমনে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
জনমনে প্রতিক্রিয়া ও উত্তেজনা: প্রার্থিতা বাতিলের খবরে স্থানীয়দের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
১৪ দলীয় জোটের প্রার্থী মাহিবুল হোসেন মাহিম-এর পক্ষে গেজেট প্রকাশের দাবি ওঠায় রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।
প্রার্থিতা বাতিলের কারণ:
নির্বাচন কমিশনের গেজেট বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে—
ফাইজুল রশিদ খান রব্বানির মনোনয়নপত্রে গুরুতর অনিয়ম ও জাল স্বাক্ষর পাওয়া গেছে।
পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া, দৈবজ্ঞহাটি ও সদর উপজেলার মোট সাতজন ব্যক্তির স্বাক্ষর জাল প্রমাণিত হয়।
এই সাতজন হলেন —
১️/মো. মফিজুল হোসেন, দৈবজ্ঞহাটি, পিরোজপুর
২️/ফিরোজ মিরা, দৈবজ্ঞহাটি, পিরোজপুর
৩️ /মো. সোবাহান মিরা, দৈবজ্ঞহাটি, পিরোজপুর
৪️/মো. মফিজুল ইসলাম, পশ্চিম পাশাকানি, পিরোজপুর
৫️/মো. জাহিদুল ইসলাম, পাংশা, পিরোজপুর
৬️ /মো. বাবুল ফকির, পাংশা, পিরোজপুর
৭️/মো. দুলাল হোসেন, পাংশা, পিরোজপুর
এছাড়াও, মনোনয়নপত্রে দলীয় পরিচয়ে ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ’-এর পরিবর্তে ভুলবশত ‘জাতীয় পার্টি–জেপি’ উল্লেখ করা হয়েছে, যা নির্বাচন বিধিমালা লঙ্ঘনের শামিল।
নির্বাচন কমিশনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত:
উল্লিখিত অভিযোগগুলো যাচাইয়ের পর নির্বাচন কমিশন রব্বানির প্রার্থিতা চূড়ান্তভাবে বাতিল ঘোষণা করে।
এই প্রজ্ঞাপনটি নির্বাচন কমিশনের উপসচিব মোহা. আতাউল হক স্বাক্ষরিত এবং বাংলাদেশ গেজেটের অতিরিক্ত সংখ্যায় ৪ অক্টোবর ২০২৩ (বুধবার) প্রকাশিত হয়।
এরপর থেকেই ভান্ডারিয়া উপনির্বাচনের ভবিষ্যৎ নিয়ে স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে গভীর আগ্রহ ও জল্পনা শুরু হয়েছে।