নিজস্ব প্রতিবেদক: নেছারাবাদ উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. সোহাগ মৃধার বিরুদ্ধে নিজের ঘরে আগুন দিয়ে আপন ভাই ও চাচাকে মামলায় ফাঁসানোসহ দীর্ঘদিন ধরে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। এক সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের প্রভাব ব্যবহার করে এলাকায় আতঙ্ক ছড়ানো এই ইউপি সদস্য বর্তমানে নিজেকে বিএনপি পরিচয়ে পুনরায় আলোচনায় এনেছেন।
মো. জাহাঙ্গির হোসেন নামে তার আপন চাচা অভিযোগ করে বলেন, “সোহাগ আমার ভাইয়ের ছেলে। ওয়ারিশ সম্পত্তি বঞ্চিত করতে সে তার ভাইকে নানা হয়রানি করত। আমি প্রতিবাদ করায় একবার আমাকে চুরির মামলায় ফাঁসায়। পরে নিজের ঘরে আগুন দিয়ে আমার ও তার ভাই তৈমুর রেজার নামে মামলা করে। ওই মামলায় আজও হয়রানি ভোগ করছি।”
অভিযোগে তিনি আরে বলেন, “তৎকালীন আওয়ামী লীগের সময় সেই মামলায় রেহাই দেয়ার কথা বলে সে আমাদের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়েছিল।” স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মো. সোহাগ হোসেন বলেন, “সোহাগ মৃধা একসময় বিএনপি করলেও আওয়ামী লীগ আমলে আওয়ামী পরিচয়ে নেতাকর্মীদের হয়রানি করেছে। এখন আবার বিএনপি পরিচয়ে মাঠে নেমেছে।”
স্থানীয়দের অভিযোগ, আওয়ামী আমলে সোহাগ মৃধার ভয়ে কেউ মুখ খুলত না। প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে মিথ্যা মামলা, ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে সরকারি অর্থ আত্মসাতসহ নানা অপকর্মে সে জড়িত ছিল। সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পালাবদলের পর সে বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক অহিদুজ্জামান ওহিদের নাম ব্যবহার করে ইউনিয়নে নতুন করে প্রভাব বিস্তার করছে। নেছারাবাদে উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মো: ফকরুল আলম জানান, শুনেছি ইউপি সদস্য সোহাগ মৃধা আওয়ামীলীগ করত।
এখন কিভাবে সে বিএনপি করে তা আমার জানা নেই। কেহ একজন এসে নিজেকে বিএনপি বলে দাবি করলেই বিএনপি হবেনা। সে আমাদের বিএনপির কেহ নয়।
অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে ইউপি সদস্য সোহাগ মৃধা বলেন, “আমি কাউকে মিথ্যা মামলা দিইনি। আমি বিএনপি করি, তবে শেখ হাসিনার আদর্শে বিশ্বাসী। ইউপি সদস্যদের নির্দিষ্ট দল থাকে না। যে সরকার আসে, তার হয়ে কাজ করি।”
