নিজস্ব প্রতিবেদক: পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলায় বিপ্লব ফকির (৪৫) নামে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে সাদা পোশাক পরিহিত একদল ব্যক্তি ধরে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার বিকেলে উপজেলার গুয়ারেখা ইউনিয়নের পাটিকেলবাড়ী এলাকা থেকে তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। বিপ্লব ফকির গুয়ারেখা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিপ্লব ফকিরকে আটক করে পিরোজপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর তাকে ছাড়িয়ে আনতে চেষ্টা শুরু করেন বিএনপির নেতা মো. শাহ নাসির উদ্দীন ফকির। তিনি বিএনপির প্রয়াত সাবেক হুইপ ও সংসদ সদস্য মো. শহিদুল হক জামালের সাবেক এপিএস। শাহ নাসির উদ্দীন অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেছেন, “বিপ্লব আসলে আমাদের দলের (বিএনপি) একজন সক্রিয় কর্মী। কে বা কারা তার নাম আওয়ামী লীগের কমিটিতে দিয়েছে, তা জানি না। এটি রাজনৈতিক চক্রান্ত।” তিনি আরও বলেন, “আমরা আশা করছি তাকে এই চক্রান্তের হাত থেকে মুক্ত করতে পারব।”
এ বিষয়ে জানতে পিরোজপুর জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ অফিসে ফোন করা হলেও কোনো কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।
স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, বিপ্লব ফকির এলাকায় প্রভাবশালী ও কিছুটা বিতর্কিত ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত। সোমবার বিকেলেও তিনি স্থানীয় এক ব্যক্তিকে আখ দিয়ে মারধর করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
গুয়ারেখা ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. লাভলু গাজী বলেন, “বিপ্লব মূলত বিএনপি ঘেঁষা মানুষ। শুনেছি, পূর্বে আওয়ামীলীগ করত। শুনেছি, বিকেলে ডিবি পুলিশ এসে তাকে ধরে নিয়ে গেছে।”
গুয়ারেখা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সূত্রে জানা যায়, বিপ্লব ফকিরকে তার নিজের সম্মতিতে ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতির পদে রাখা হয়েছিল। তবে গত ৫ আগস্টের পর থেকে তিনি বিএনপির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়েন বলে দাবি করা হয়।