More

    হাদি আমার নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বী নয়, প্রতিযোগী: মির্জা আব্বাস

    অবশ্যই পরুন

    ওসমান হাদির ওপর হামলাকে ‘গণতন্ত্রের ওপর আঘাত’ বলে অভিহিত করে এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। আজ শনিবার বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশে তিনি আরও বলেন, ‘হাদি আমার নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বী নয়, প্রতিযোগী। সে রাজপথের সাহসী সৈনিক। তাকে আমি নির্বাচনী মাঠে আবারও সক্রিয় পাব—সেই প্রত্যাশা করি।’ ওসমান হাদী গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় প্রতিবাদ এবং হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি।

    সেখানে বিক্ষোভপূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, ‘সে আমার সন্তান সমতুল্য। হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার সংবাদ পেয়ে আমি মানসিকভাবে আহত হয়েছি। এ আঘাত গণতন্ত্রের ওপর আঘাত। যারা এই আঘাত করেছে, তাদের কালো হাত ভেঙে দিতে হবে।’

    একটি দল উত্তেজনা সৃষ্টির চেষ্টা করেছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘দুপুর ২টায় হাদী গুলিবিদ্ধ হলেন, তার আধাঘন্টা পরই একটি দল উত্তেজনা সৃষ্টির জন্য ফেসবুকে পোষ্ট দেওয়া শুরু করে। আমি হাসপাতালে গিয়ে দেখতে পেলাম সবই পরিকল্পিত।’ দীর্ঘ দিনের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা থাকায় তিনি শান্ত ছিলেন উল্লেখ করে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘হাসপাতালে যারা এগুলো করেছে, তারা হাদীর সমর্থক নয়। তারা অন্য একটি দলের। আমরা শান্ত না থাকলে হাদীর চিকিৎসা ব্যাহত হতো।

    তারা চেয়েছিল, হাদীর চিকিৎসা যাতে ব্যাহত হয় এবং সে মারা যাক।’ তিনি বলেন, ‘একটি দলের ষড়যন্ত্র আমরা ৭১, ৮৬-সহ অনেক দেখেছি। এদের মূল শক্তিই ষড়যন্ত্র। এরা স্থির রাষ্ট্র সহ্য করতে পারে না। তাই রাষ্ট্রকে সবসময়ই অস্থিতিশীল রাখতে চায়।’ হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর এক-দেড়শ লোক ফেসবুকে দেশে মব সৃষ্টির জন্য উস্কানি দিয়ে পোস্ট দিয়েছেন এবং তারা সকলেই একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের বলে জানান মির্জা আব্বাস।

    বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘সাতাত্তর সাল থেকে নির্বাচন করে আসছি। কারও সাথে মারামারি হয়নি। একসাথে প্রার্থীরা কোলাকুলি করেছি, খেয়েছি। মারামারি করে আওয়ামী লীগ। আর নির্বাচনসহ রাষ্ট্রকে অস্থির করে সেই বিতর্কিত রাজনৈতিক দল।

    আমরা চাই, হাদির ওপর হামলাকারী গ্রেপ্তার হোক এবং বিশেষ দলের মুখোশ উন্মোচিত হোক।’ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এসময় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আব্দুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, শেখ রবিউল আলম, হাবিবুর রশিদ হাবিব, যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না, সিনিয়র সহসভাপতি রেজাউল কবির পল প্রমুখ।

    সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিলটি নয়াপল্টন থেকে শুরু হয়ে বিজয়নগর ফকিরাপুল মোড় ঘুরে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।

    সম্পর্কিত সংবাদ

    সর্বশেষ সংবাদ

    উজিরপুরে জামায়াত প্রার্থীর সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

    উজিরপুর (বরিশাল) প্রতিনিধি : আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বরিশাল-২ (বানারীপাড়া–উজিরপুর) আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী আলহাজ...