বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফেরার পর তাকে নজিরবিহীন সংবর্ধনা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, এমন সংবর্ধনা যা অতীতে কোনো নেতা এই দেশে পাননি। রোববার রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় তারেক রহমানেরর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে দলের প্রস্তুতির কথা বলছিলেন মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, “আল্লাহর কাছে অশেষ শুকরিয়া আদায় করতে চাই যে, আমাদের আমাদের নেতা তিনি দীর্ঘ ১৮ বছর নির্বাসনে থাকার পরে ইনশাআল্লাহ আগামী ২৫ ডিসেম্বর তিনি আমাদের মাঝে এসে উপস্থিত হবেন। এটা আমাদের জন্য অনেক অনুপ্রেরণার বিষয়। “আসুন, আমরা ২৫ তারিখে তাকে এমন এক সংবর্ধনা জানাই যেটা অতীতে কখনো কোন নেতা বাংলাদেশে পায়নি। আমরা সবাই প্রস্তুত আছি, ইনশাল্লাহ।” লন্ডনে পরিবার নিয়ে বসবাস করা তারেকের দেশে ফেরার খবর আসে শুক্রবার রাতে।
২০০৭-০৮ সালের সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে খালেদা জিয়ার মত তার বড় ছেলে তারেক রহমানকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। মুক্তি পাওয়ার পর তিনি পরিবার নিয়ে লন্ডনে চলে যান, দেশে আর ফেরেননি। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে যেদিন জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হল, সেদিনই বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে তারেককে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপর গত সাত বছর ধরে লন্ডন থেকে ভিডিও কলেই তিনি দল চালাচ্ছেন। আওয়ামী লীগের আমলে দেওয়া বিভিন্ন রায়ে তারেকেরও সাজা হয়েছিল সরকার পতনের পর তিনি সাজামুক্ত হলে তার আসার ক্ষেত্র প্রস্তুত হয়। তারেক রহমানের দেশে ফেরার প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, “আমরা এত উদ্বেগের মধ্যে এই সংবাদে প্রমাণিত হয়েছি।
একদিকে আমাদের মাতা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তিনি অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে আছেন। “অন্যদিকে এক অনিশ্চয়তা, তার মধ্যে আমাদের সেই নিশ্চয়তা (তারেক রহমান) আলো যিনি আমাদেরকে দেখাচ্ছেন, আমাদেরকে যিনি সামনে পথ দেখাচ্ছেন সেই নেতা আমাদের মাঝে এসে উপস্থিত হবেন ২৫ তারিখে।” কাকরাইলের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউটের হলে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল ও জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মের উদ্যোগে বিজয় দিবস উপলক্ষে ‘জাতির ক্রান্তি লগ্নে গণতন্ত্র রক্ষায় জাতীয় সংসদ নির্বাচন অপরিহার্য’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা হয়।
ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অবসরপ্রাপ্ত লে. কর্নেল জয়নুল আবেদিন, মুক্তিযোদ্ধা দলের অবসরপ্রাপ্ত মিজানুর রহমান, নজরুল ইসলাম, এম এ হালিম, এম এ হাকিম খান, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মের সদস্য সচিব কেএম কামরুজ্জামান নান্নুনহ আরো অনেকে বক্তব্য রাখেন।
