বরগুনার আমতলী উপজেলার পশ্চিম চিলা গ্রামের কৃষক জালাল গাজীর ৩৬০টি তরমুজ চারা উপড়ে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় শুক্রবার (১২ মার্চ) দুপুরে আমতলী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন কৃষক। এর আগে, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম চিলা গ্রামের কৃষক জালাল গাজী এক একর জমিতে তরমুজের চাষ করেছেন। এতে তার ব্যয় হয়েছে ৬০ হাজার টাকা। বর্তমানে ওই তরমুজ গাছে ফল ধরেছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ওই তরমুজ ক্ষেতের ৩৬০ টি গাছ উপড়ে ফেলে দুর্বৃত্তরা। সকালে কৃষক জালাল গাজী ক্ষেতে গিয়ে তরমুজ চারা উপড়ে ফেলা দেখতে পেয়ে ডাক চিৎকার দেন। তার ডাক চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন গিয়ে তরমুজ চারা উপড়ে ফেলার দৃশ্য দেখতে পায়। এতে তার প্রায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান জালাল গাজী।
শুক্রবার সকালে ওই উপড়ে ফেলা ৩৬০ টি তরমুজ গাছের চারা জালাল গাজী আমতলী থানায় নিয়ে আসেন। এ ঘটনায় ওইদিন দুপুরে জালাল গাজী বাদী হয়ে হেলাল গাজীকে প্রধান অভিযুক্ত করে থানায় তিন জনের নামে অভিযোগ দিয়েছেন।
কৃষক জালাল গাজী অভিযোগ করে বলেন, তার আপন ভাই হেলাল গাজীর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক বিষয় নিয়ে বিরোধ রয়েছে। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে হেলাল গাজী তার ছেলে লিমন গাজী ও শাহীন গাজী রাতে আমার সর্বনাশ করার জন্য এ তরমুজ চারাগুলো উপড়ে ফেলেছে।
তিনি আরও বলেন, তরমুজ রোপনের পূর্বে হেলাল আমাকে হুমকি দিয়েছিল আমার তরমুজ ক্ষেত নষ্ট করবে বলে।
স্থানীয় নারী কৃষক ফরিদা বেগম ও কনা বেগম বলেন, শুক্রবার সকালে ডাকাডাকি শুনে জালাল গাজীর ক্ষেতে গিয়ে দেখি অনেক তরমুজের চারা উপড়ে ফেলা। রাতের আঁধারে শত্রুতাবসত কেউ এ চারাগুলো উপড়ে ফেলেছে। এতে তো আমাদের মাঝেও শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তারা।
এ বিষয়ে হেলাল গাজীর ছেলে শাহীন গাজী তরমুজ চারা উপড়ে ফেলার কথা অস্বীকার করে বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে আমার পরিবারের কোনও সংশ্লিষ্টতা নেই।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম হাওলাদার বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।