পটুয়াখালীতে তীব্র শীতে ব্যাহত হচ্ছে জীবনযাত্রা। ঘন কুয়াকাশায় ঢাকা পড়ছে গ্রামীণ জনপদ। বেলা বাড়লেও দেখা মিলছে না সূর্যের। শীতে দুশ্চিন্তার ছাপ পড়েছে জেলার কৃষকদের মুখে। বিশেষ করে ঘন কুয়াশায় ক্ষতির শঙ্কায় পড়েছেন চাষিরা। তারা বলছেন, আরও এক সপ্তাহ এভাবে ঘন কুয়াশা থাকলে বড় ক্ষতির শঙ্কা করছেন তারা। তবে অনেক আগাম তরমুজ চাষীরা ঘন কুয়াশার কবল থেকে তরমুজের চারা বাঁচাতে নতুন পদ্ধতি অবলম্বন করেছেন। তরমুজ চারা রোপনের পর পলিথিন দিয়ে মুড়িয়ে দিয়েছেন।
বাউফল পৌর শহরের নয় নম্বর ওয়ার্ডের মোটরসাইকেল চালক ইউসুফ আলী বলেন, শীতের তীব্রতা এতটা বেড়েছে যে রাত আটটার পার এবং সকাল দশটা পর্যন্ত মোটরসাইকেল চালানো খুব কষ্টকর হয়ে পড়ে। এতে আমাদের ইনকাম আগের তুলনায় অনেকটা কমেছে। আমাদের অনেক ড্রাইভার ইতিমধ্যে ঠান্ডা জনিত রোগে ভুগছেন।
রাঙ্গাবালীর উপজেলার গাইয়াপাড়া গ্রামের তরমুজ চাষী হাসান মিয়া বলেন, এ বছর দুই একর জমিতে তরমুজ গাছ রোপন করেছি। কিন্তু কুয়াশার কারণে ক্ষতির শঙ্কায় রয়েছি। তাই পলিথিন কিনেছি। নতুন পদ্ধতিতে পলিথিন ছোট টুকরা টুকরা করে চারাগুলো মুড়িয়ে দিবো। ইতিমধ্যে এ পদ্ধতি অনেকেই অবলম্বন করেছেন।
জেলার পৌর শহরের অটো রিকশাচালক বসার গাজী বলেন, রাত নয়টার পরই শহর থেকে মানুষের আনাগোনা কমে যায়। সকালেও তেমন একটা ক্ষ্যাপ (যাত্রী) পাইনা। যার ফলে গত এক সপ্তাহ ধরে আমাদের ইনকাম অর্ধেকে নেমে এসেছে।
পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবা সুখী বলেন, আগামী এক সপ্তাহ আবহাওয়ার এই অবস্থা থাকতে পারে। তবে শীতের তীব্রতা আরও বাড়তে পারে।
গতকাল শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় জেলায় সর্বনিম্ন ১২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। কনকনে ঠান্ডা বাতাসে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে বাড়ছে ক্রেতাদের ভিড়। হঠাৎ জেকে বসা শীতে হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে ডায়রিয়া ও শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। শীতার্ত এসব মানুষ বিত্তবানদের সহযোগিতার অনুরোধ জানিয়েছেন।
বরিশাল নিউজ/স্ব/খ
