ভোলা থেকে উপকূলীয় জলচর পাখি শুমারি শুরু হয়েছে। শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে ভোলার খেয়াঘাট থেকে ৮ সদস্যের একটি পাখি পর্যবেক্ষক দল ট্রলার নিয়ে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে।
প্রতি বছরের মতো এবারও বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের আয়োজনে আগামী ২১ জানুয়ারি পর্যন্ত ৯ দিন পর্যবেক্ষক দলটি পাখি গণনার কাজ করবে। পাখি শুমারি দলে রয়েছেন পর্বত আরোহী ও পাখি পর্যবেক্ষক এম এ মুহিত, পাখি গবেষক সায়াম চৌধুরী, পাখি পর্যবেক্ষক অনু তারেক, পাখি গবেষক নাজিম উদ্দিন প্রিন্স, ফয়সাল, বন বিভাগের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও জীববৈচিত্র কর্মকর্তা জোহরা মিলা, আইউসিএন বাংলাদেশের সিনিয়র প্রোগ্রাম এসিস্ট্যান্ড জেনিফার আজমিরী এবং প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের গবেষণা কর্মকর্তা শিহাব খালেদীন।
পাখি শুমারি দলে অংশ নেয়া পর্বত আরোহী ও পাখি পর্যবেক্ষক এম এ মুহিত গনমাধ্যমকে জানান, সারা বিশ্বের সঙ্গে মিলিয়ে উপকূলের প্রায় অর্ধশতাধিক চরসহ আসপাশের চরাঞ্চলে তারা পাখি গণনা করবে। এর মধ্যে উল্লেখ যোগ্য- হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপ, দমারচর, ভোলার ভাষান চর , সোনার চর, ঢালচর, মনপুরা ও চর কুকরিমুকরি, চর শাহাজালাল, মোক্তারিয়া চ্যানেল ।
শুমারি দলে থাকা পাখি গবেষক সায়াম চৌধুরী বলেন, শুধু পাখি গণনা নয়, পাখিদের জীবন, অবাধ বিচরণ নিশ্চিত করার পাশাপাশি পাখি রক্ষায় আগামী ৯ দিন উপকূলে কাজ করবে তারা।
তিনি আরো বলেন, উপকূলে দিন দিন পাখির সংখ্যা কমছে। শুধু বাংলাদেশেই নয় সারা বিশ্বেই কমে আসছে পাখি। কমে আসা কিভাবে রোধ করা যায় সে জন্য মানুষের মধ্যে সচেতনতা প্রয়োজন।
পাশাপাশি পাখির অভয়স্থল দিনে দিনে কমে যাচ্ছে। এদের টিকিয়ে রাখতে হবে, না হলে আমাদের পরিবেশ বিপন্ন হয়ে পরবে। তাই সকলকেই এ ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। তাহলে কিছুটা হলেও রক্ষা পাবে পাখি ও পরিবেশ।
পাখি শুমারি শেষে তাদের প্রতিবেদনটি ‘ওয়েটল্যান্ডস ইন্টারন্যাশনাল’ নামের আন্তর্জাতিক সংস্থা বই আকারে প্রকাশ করবে। যা পৃথিবীর জলচর পাখির গুরুত্বপূর্ণ দলিল বলে গণ্য করা হয় বলে জানা গেছে।
বরিশাল নিউজ/ স্ব/খ