স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক বরেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪০ সালের আগেই বাংলাদেশ থেকে তামাক নির্মূল করার ঘোষণা দিয়েছেন।
জাতীয় সংসদ ও ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন আয়োজিত দক্ষিণ এশীয় স্পিকার সম্মেলনে যুগান্তকারী এই ঘোষণা দেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার আলোকে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ কাজ করে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার ঘোষণাকালে কয়েকটি সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেন। আন্তর্জাতিক তামাক নিয়ন্ত্রণ চুক্তি ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোব্যাকো কন্ট্রোলের (এফসিটিসি) আলোকে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধন অন্যতম। তার নির্দেশনার আলোকে ইতোমধ্যে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের একটি খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। খসড়া আইনটি দ্রুত পাস করার পদক্ষেপ চলমান রয়েছে।
শীঘ্রই এটি মন্ত্রিসভায় নীতিগত অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা সম্ভব হবে এবং মন্ত্রিসভায় নীতিগত অনুমোদনের পর খসড়া আইনটি পাশের জন্য সংসদে উপস্থাপন করা হবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত আগামী ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি ই-সিগারেট আমদানি, উৎপাদন, বিক্রি, বিপণন ও ব্যবহার নিষিদ্ধকরার জন্য ১৫৩ জন সংসদ- সদস্যদের সুপারিশ বাস্তবায়নে এ মন্ত্রণালয় গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিদ্যমান আইন সংশোধনীতে ই-সিগারেটসহ ইমার্জিং তামাক পণ্য নিষিদ্ধ করে প্রস্তাব যুক্ত করেছে।
সুনির্দিষ্টভাবে, ১৫৩ জন সংসদ সদস্যগণের সুপারিশের আলোকে এ খসড়া আইনে ‘ইলেকট্রনিক নিকোটিন ডেলিভারি সিস্টেম, ইমার্জিং টোব্যাকো প্রডাক্টস ইত্যাদি নিষিদ্ধ’ বিষয়ক একটি নতুন ধারা যুক্ত করা হয়েছে। নতুন এ ধারা মাধ্যমে ই- সিগারেটসহ সকল প্রকার ইমার্জিং তামাক পণ্য আমদানি, উৎপাদন, বিক্রি, বিপণন ও ব্যবহার নিষিদ্ধকরণের প্রস্তাব করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইন প্রণয়ন করা হচ্ছে বলে জানান মন্ত্রী।
বরিশাল ডট নিউজ/স্ব/খ