জীববৈচিত্র্য রক্ষার্থে এবং সমুদ্রকে দূষণমুক্ত করতে কুয়াকাটার সৈকত থেকে গত এক মাস ১৮ দিনে এক টনেরও বেশি বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে। এসব বর্জ্যের মধ্যে চানাচুর, চিপস ও বিস্কুটের মোড়ক ২৬৬ কেজি, পলিথিন ১৩৯ কেজি, প্লাস্টিকের বোতল ২৩৭ কেজি এবং মাছ ধরার জন্য ব্যবহৃত ছেড়া জাল রয়েছে ৪৫১ কেজি।
ওয়ার্ল্ডফিশ ও ইকোফিশের উদ্যোগে ব্লুগার্ড সদস্যরা সপ্তাহে এক দিন করে বছরে মোট ৪৮ দিন কাজ করে সৈকতের বিভিন্ন স্থান থেকে এসব বর্জ্য সংগ্রহ করেছেন। পরে পচনশীল উপকরণগুলোকে নিরাপদ স্থানে ডাম্প করা হয়েছে।
ওয়ার্ল্ডফিশ ও ইকোফিশের তথ্যমতে, দৈনিক ২৩ কেজি করে এসব বর্জ্য সমুদ্রে মিশে যায়। এ ছাড়া ৪৮ দিনে ১০৯৩ কেজি, বছরে ৮০৩৩ কেজি মেশে।
ব্লুগার্ড সদস্য মো. মানিক বলেন, ‘জীবিকার জন্য মানুষ নদী কিংবা খালের ওপর নির্ভরশীল। অথচ ক্ষতিকর প্লাস্টিক, বিভিন্ন ধরনের বর্জ্য নদী ও সমুদ্রে ফেলার কারণে সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হচ্ছে। সমুদ্র দূষণমুক্ত রাখতে ওয়ার্ল্ডফিশের সঙ্গে আমাদের সম্পৃক্ত করা হয়েছে।’
আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ডফিশ-২ এর সহযোগী গবেষক সাগরিকা স্মৃতি বলেন, ‘পৃথিবীর ৭১ ভাগ জুড়ে রয়েছে সমুদ্র। ফলে সাগর দূষণমুক্ত রাখা খুবই জরুরি। জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং সাগরদূষণ কমানোর জন্য ইউএসএআইডির অর্থায়নে পরিচালিত ওয়ার্ল্ডফিশ বাংলাদেশের ইকোফিশ-২ অ্যাক্টিভিটি কলাপাড়ায় ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী ২৬ জন যুবককে ব্লুগার্ড হিসেবে যুক্ত করেছে। এ ছাড়া সাগরে জাটকা এবং মা ইলিশ শিকার না করার বিষয়ে জেলেদের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছে এ সদস্যরা।
ইকোফিশ কার্যক্রমের বিজ্ঞানী মো. জলিলুর রহমান হাওলাদার বলেন, ‘ব্লুগার্ড উদ্যোগটি উপকূলীয় ইকোসিস্টেমের সুরক্ষার মাধম্যে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে সহায়তা করছে। প্রায় ১০০ জন যুবককে এ কাজে যুক্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে ২০ ভাগ নারী।’
এ বছর সেন্টমার্টিন দ্বীপকে অন্তর্ভুক্ত করে ব্লুগার্ড কার্যক্রমকে আরও জোরদার করা হবে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
বরিশাল ডট নিউজ/স্ব/খ