বরগুনার আমতলী উপজেলায় গ্রাম গ্রামান্তরে তরমুজ চাষে ব্যস্ত কৃষকরা। একই সঙ্গে কাজ করেছেন নারী ও শিশুরাও। একটু যেন ফুরসুত নেই তাদের। গেল বছর শত শত একর জমির তরমুজ নষ্ট হওয়াতে অনেক কৃষক মোটা অংকের লোকসান গুণতে হয়েছে। গত বছরের লোকসান পোষাতে এ বছর কৃষকরা আগাম তরমুজ চাষে ঝুঁকে পড়েছেন।
হলদিয়া ইউনিয়নের উত্তর তক্তাবুনিয়া গ্রামের শিবলী শরীফ বলেন, ২০ একর জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। গাছের চারা বড় হয়েছে। প্রতিদিন ১০ জন শ্রমিক কাজ করছেন।
গুলিশাখালী গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদার বলেন, এ বছর ৫০ একর জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। ইতিমধ্যে ২৫ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। পলিথিনে চারা করে খেতে বপন করায় আগাম তরমুজ আসবে বলে আশা করি। প্রতিদিন গড়ে ১৫ জন শ্রমিক কাজ করছেন।
পশ্চিম সোনাখালী গ্রামের মৌলুভী শাহীন মিয়া, আলাউদ্দিন মৃধা, ইসাবুল মৃধা, হাসান হাওলাদার ও নুরে আলম মল্লিক বলেন, গত বছর বেশ লোকসান হয়েছে। ওই লোকসান কাটিয়ে উঠতে এ বছর বেশি জমিতে তরমুজ চাষ করেছি।
আমতলী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সিএম রেজাউল করিম বলেন, এ বছর তরমুজের লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। আবহাওয়া অনুকুল থাকলে কৃষকরা লাভবান হবে।
বরিশাল ডট নিউজ/স্ব/খ