বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে টাইগাররা।
বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দারুণ লড়াই করেও ওয়ানডে সিরিজ জিততে পারেনি বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে তাদের প্রতিশোধ নিল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। টি-টোয়েন্টি চ্যাম্পিয়ন ইংলিশদের ঘরের মাঠে ‘বাংলাওয়াশ’ করল টাইগাররা। 16 রানে তিন ম্যাচের সিরিজ জিতে দারুণ প্রত্যাবর্তন করেছে সাকিব আল হাসানের দল।
চট্টগ্রামে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে জিতে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে বাংলাদেশ। মিরপুরে ফিরে সিরিজ নিশ্চিত করেছে টাইগাররা। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে ইতিহাস তৈরি হয়েছিল। মঙ্গলবার শেষ ম্যাচে ইংলিশদের হোয়াইটওয়াশ করার সুযোগ ছিল। চন্ডিকা হাথুরুসিংহে ও সাকিবের নেতৃত্বে নতুন চেহারার বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দল সেই ম্যাচেও ভালো ক্রিকেট খেলেছে।
প্রথম দুই ম্যাচে টস জিতলেও আজ টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমেছেন সাকিব আল হাসান। প্রথমে ব্যাট করে দারুণ শুরু করে তার দল। ওপেনার লিটন দাস ও রনি তালুকদার ৭.৩ ওভারে ৫৫ রান তোলেন। আট বছর পর দলে ফিরে সাজঘরে ফেরার আগে তিন চারে ২৪ রান করেন রনি।
এরপর ৮৪ রান করেন লিটন দাস ও নাজমুল শান্ত। তিন ওয়ানডে ও প্রথম দুই টি-টোয়েন্টি ম্যাচে রান না পাওয়া লিটন ৫৭ বলে ৭৩ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। তিনি মারেন 10টি চার ও একটি ছক্কা। প্রথম দুই ম্যাচে দলকে জেতানো ইনিংস খেলার পর শান্ত ৩৬ বলে ৪৭ রান করে অপরাজিত ছিলেন। বাংলাদেশ তাদের ব্যাটে মাত্র 2 উইকেট হারিয়ে 158 রানে আটকে যায়।
ইনিংসের প্রথম ওভারেই ভেঙে পড়েন বাংলাদেশের অভিষেক স্পিনার তানভীর ইসলাম। ইংলিশ ওপেনার ফিল সল্টকে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলেন তিনি। এরপর তিনে নামা ডেভিড মালান ও জস বাটলার দারুণ ব্যাটিং করে ম্যাচকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। 14তম ওভারে 95 রানের জুটি গড়ার পর মুস্তাফিজুর রহমান ভেঙে পড়েন।
ওভারের প্রথম বলেই তিনি ৪৭ বলে ৫৩ রান করা মালানকে আউট করেন। ৩১ বলে ৪০ রান করা অধিনায়ক বাটলার পরের বলেই রান আউট হন। চারটি চার ও একটি ছক্কা মারেন তিনি। এরপর ১৭তম ওভারে মঈন আলি ও বেন ডাকেটকে তুলে নেন তাসকিন আহমেদ। 23 রানে চার উইকেট নিয়ে ফিরেছে টাইগাররা। শেষ পর্যন্ত ক্রিস ওকসের ১৩ রানই ইংল্যান্ডের বিব্রত এড়াতে যথেষ্ট ছিল না।
বাংলাদেশের পক্ষে ৪ ওভারে ২৬ রান দিয়ে দুই উইকেট নেন তাসকিন। মুস্তাফিজ একটি উইকেট পেলেও শেষ ম্যাচে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন। চার ওভারে মাত্র ১৪ রান দেন তিনি। সেই এক উইকেট নিয়ে তিনি বাংলাদেশের দ্বিতীয় বোলার এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ষষ্ঠ বোলার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে শততম উইকেট লাভ করেন। সাকিব ও হাসান মাহমুদ ৪ ওভারে যথাক্রমে ৩০ ও ২৯ রান দেন।