More

    আগৈলঝাড়ায় ঘুষ নিয়ে চাকুরী না দেয়ায় বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের

    অবশ্যই পরুন

    আগৈলঝাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধিঃ
    বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার মোল্লাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে কর্মচারী নিয়োগঘুষ নিয়ে চাকুরী না দেয়ার অভিযোগে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক সুশান্ত মজুমদারের বিরুদ্ধে বরিশাল মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ—পরিচালকসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এঘটনা তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী স্থানীয়দের।

    প্রার্থী বাদল মজুমদারের লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রত্নপুর ইউনিয়নের মোল্লাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে অফিস সহকারী, আয়া ও নিরাপত্তা কমীর্ নিয়োগ ২০২২ সালের ১৭ জুন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এরপরে আয়া পদে ৭ জন, নিরাপত্তা কমীর্ পদে ৪জন ও অফিস সহকারী পদে ৯জন আবেদন করলেও ২০২২ সালের ১২ নভেম্বর অফিস সহকারী পদে ৭জন বরিশাল জিলা স্কুলে পরীক্ষায় অংশগ্রহন করেন। অফিস সহকারী পদে নিয়োগের জন্য প্রার্থী বাদল মজুমদারের কাছ থেকে ওই বিদ্যালয়ের ক্রীড়া শিক্ষক সুশান্ত মজুমদার ৩ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা ঘুষ নেন। মোল্লাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় কতৃর্পক্ষ ২০২২ সালের ২০ নভেম্বর অফিস সহকারী পদে মোল্লাপাড়া গ্রামের সনাতন সরকারের ছেলে সুজিত সরকার, নিরাপত্তা কমীর্ পদে মোল্লাপাড়া গ্রামের মঙ্গল সরকারের ছেলে মহিম সরকার ও আয়া পদে মোল্লাপাড়া গ্রামের মৃত. নৃপেন গোলদারের স্ত্রী নিপা হালদারকে নিয়োগ প্রদান করেন।

    চাকুরী না পেয়ে বাদল মজুমদার শিক্ষক সুশান্ত মজুমদারের কাছে ঘুষের টাকা ফেরত চাইলে টাকা না দিয়ে বিভিন্ন টালবাহনা শুরু করেন। এঘটনার বিচারের দাবীতে মোল্লাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ড. সুনীল কুমার হাওলাদারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। লিখিত অভিযোগের অনুলিপি দেওয়া হয়েছে বরিশাল মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ—পরিচালক, আগৈলঝাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, দুনীর্তি দমন কমিশনের উপ—পরিচালক, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে। মোল্লাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের অভিযুক্ত শিক্ষক সুশান্ত মজুমদার বলেন, বিদ্যালয়ের কর্মচারী নিয়োগ বোর্ডের সদস্য আমি নই। তারপরেও আমাকে কর্মচারী নিয়োগে টাকা নেওয়ার ব্যাপারে জড়িয়েছে। আমি কারো কাছ থেকে নিয়োগের ব্যাপারে টাকা নেইনি। আমার বিরুদ্ধে তারা মিথ্যা বলছে। মোল্লাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ড. সুনীল কুমার হাওলাদার  লিখিত অভিযোগ পাওয়ার সত্যাতা স্বীকার করে বলেন, লিখিত অভিযোগের ব্যাপারে শিক্ষক সুশান্ত মজুমদারকে গত ৭ এপ্রিল প্রথমবার কারন দশার্নোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। সে কোন জবাব না দেওয়ায় গতকাল শনিবার সকালে বিদ্যালয়ে সভা করে দ্বিতীয়বার কারন দশার্নোর নোটিশ দেওয়া হবে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মাহাবুবুর রহমান বলেন, ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাখাওয়াত হোসেনের কাছ থেকে এক সপ্তাহ পূর্বে আমার কাছে দেওয়া হয়েছে। আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।

    এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তদন্ত করে রিপোর্ট দেওয়ার পর অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    সম্পর্কিত সংবাদ

    সর্বশেষ সংবাদ

    সুপার ফোরে যেতে যে সমীকরণ মেলাতে হবে বাংলাদেশকে

    এশিয়া কাপের ‘বি’ গ্রুপে শ্রীলঙ্কাকে প্রায় হারিয়েই দিয়েছিল হংকং। জিতলে বাংলাদেশের জন্য হিসাবটা অনেক সহজ হতো। শেষ পর্যন্ত তা...