বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন কলেজের আবাসিক হল থেকে উদ্ধার হওয়া ছাত্র মইনুল ইসলামকে হত্যার অভিযোগে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা।
ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে সকাল ১১টায় কলেজের জিরো পয়েন্টে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
সমাবেশ শেষে একটি মিছিল কলেজ প্রদক্ষিণ করে প্রশাসন ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
বিক্ষোভের আয়োজক সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট নেতা বিজন সিকদার বলেন, “সবাই বলছে এটা আত্মহত্যা। তবে এটা আত্মহত্যা হতে পারে না।”
মইনুলকে হত্যা করা হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, “মইনুলের মুখে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার একটি চোখ উপড়ে ফেলা হয়েছে। তার হাঁটু মেঝেতে ছিল যদিও সে ফাঁস থেকে ঝুলছিল। যে ফ্রেম দিয়ে টাঙানো হয়েছিল সেটিও ভেঙে গেছে। ”
তিনি বলেন, ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ করা হয়েছে।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ব্রজমোহন কলেজের শিক্ষার্থী তরিকুল ইসলাম সুজন, বিজন সিকদার, সাদমান খান, অমি মিয়া, কানিজ ফাতেমা, সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।
শনিবার বিকেলে কলেজের ফ্লাইট সার্জেন্ট ফজলুল হক (মুসলিম) ছাত্রাবাসের একটি পরিত্যক্ত কক্ষ থেকে সমাজকর্ম বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র মইনুলের অর্ধগলিত ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
মুসলিম হলের ১৩৪ নম্বর কক্ষের আবাসিক ছাত্র মইনুল বরিশালের হিজলা উপজেলার বাউশিয়া এলাকার আবদুর রহিমের ছেলে।
কলেজের অধ্যক্ষ কিবরিয়া সহপাঠীদের জানান, ১৫ জুন সন্ধ্যার পর মইনুল হল থেকে বের হন। এরপর তিনি আর রুমে ফেরেননি। শনিবার হলের ১৪১ নম্বর পরিত্যক্ত কক্ষ থেকে দুর্গন্ধ বের হওয়ার পর মইনুলের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে শনাক্ত করা হয়।