এ বছর কোরবানির পশুর ২৪ লাখ ৯৪ হাজার ৫২১টি অবিক্রীত রয়ে গেছে। এতে কৃষক ও ব্যবসায়ীরা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। যেসব খামারিরা বড় গবাদিপশু হাটে নিয়ে আসেন, তাদের মধ্যে প্রায় ৫০ শতাংশই অবিক্রিত থেকে যায়। তারা সমস্যায় পড়েছেন। যারা দামি খাবার খেয়ে এবং ব্যাংক ঋণ নিয়ে কৃষিকাজ করেছেন তাদের অনেকের অবস্থাই শোচনীয়। তাদের জন্য এখন খামার চালানোর দৈনন্দিন খরচ মেটানো কঠিন হয়ে পড়বে। মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে যাওয়া এবং ভারত-মিয়ানমার থেকে অবৈধভাবে গরু আসায় এ সংকট সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, এবার কোরবানির পশু ছিল ১ কোটি ২৫ লাখ ৩৬ হাজার ৩৩৩টি। এর মধ্যে ১ কোটি ৪১ হাজার ৮১২টি পশু কোরবানি করা হয়েছে, অর্থাৎ ২৪ লাখ ৯৪ হাজার ৫২১টি পশু অবিক্রিত বা কোরবানি হয়নি। গত বছর সারাদেশে ৯৯ লাখ ৫০ হাজার ৭৬৩টি পশু কোরবানি হয়েছে। সে অনুযায়ী গত বছরের তুলনায় এবার ৯১ হাজার ৪৯টি বেশি পশু কোরবানি হয়েছে। তবে এ বছর সরকারের কাছে দাবিকৃত কোরবানির পশুর সংখ্যা আগের তুলনায় কম।
এ বছর চাহিদার চেয়ে বেশি কোরবানির পশু রয়েছে উল্লেখ করে ১৪ জুন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম জানান, এ বছর কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে ১ কোটি ৩ লাখ ৯৪ হাজার ৭৩৯টি। সে অনুযায়ী ৩ লাখ ৫২ হাজার ৯২৭টি পশু কম কোরবানি হয়েছে।