নিজস্ব সংবাদদাতা, ঝালকাঠির নলছিটিতে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে প্রবাস ফেরত এক ব্যক্তির রেকর্ডিয় জমিতে জোর করে পাকা দালান নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। আদালতের নির্দেশনার কাগজপত্র নলছিটি থানার ওসির কাছে পৌঁছে দেওয়ার পরেও তিনি কোন ব্যবস্থা নেননি বলেও অভিযোগ উঠেছে।
রবিবার দুপুরে ঝালকাঠি প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে নলছিটি উপজেলার কুশঙ্গল গ্রামের ভুক্তভোগী মজিবুর রহমানের স্ত্রী মরিয়ম বেগম সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন। লিখিত অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, পাশ^র্বর্তী সরমহল গ্রামের ফখরুল ফরাজী ওরফে সোনা মিয়া ও তাঁর আত্মীয়—স্বজনের সাথে তাঁদের জমি নিয়ে বিরোধ দেখা দেয়। প্রতিপক্ষরা গত ১১ মে তাঁর জমিতে জোর করে পাকা স্থাপনা নির্মাণের ঘোষণা দেন।
এ ঘটনায় তিনি ঝালকাঠির সহকারী জজ আদালতে মামলা করলে বিবাদীদের বিরুদ্ধে জমিতে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। পাশাপাশি মামলা নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জমিতে কোন স্থাপনা নির্মাণ না করার আদেশ দেওয়া হয়। প্রতিপক্ষ ফখরুল ফরাজী আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের সিভিল রিভিশন করেন।
হাইকোর্ট ২১ আগস্ট পরবর্তী ছয় মাসের জন্য জমিতে স্থিতি অবস্থায় বজায় রাখার নির্দেশ দেন। নির্দেশনার কাগজপত্র নিয়ে নলছিটি থানার ওসি মুহাম্মদ আতাউর রহমানের কাছে গেলে তিনি থানা থেকে মজিবুর রহমান ও তাঁর স্ত্রীকে মরিয়ম বেগমকে বের করে দেন। এসময় ওসি ওই জমিতে নির্মাণ কাজ করা যাবে বলেও তাদের জানিয়ে দেন।
এর পর থেকেই ওই জমিতে আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে পাকা দালান নির্মাণ করে যাচ্ছেন প্রতিপক্ষরা। এ অবস্থায় তিনি অসহায় হয়ে পড়েছেন। তাঁর জামিতে পাকা স্থাপনা নির্মাণ বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এ ব্যাপারে প্রতিপক্ষ ফখরুল ইসলাম বলেন, আমাদের নিজেদের জমিতে পাকা স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রতিপক্ষরা আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছেন।