কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি, পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় সাইদুর সরদার হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসীর ও স্বজনরা। শনিবার সকাল ১১টায় কলাপাড়া প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, এলাকাবাসী মো: গাজী আব্বাস উদ্দীন বাচ্চু, মো.ফারুক গাজী, সাইদুর সরদারের শ্বশুর মো.সেলিম মুন্সী, বোন মোসা.কোহিনুর বেগম, মোসা. তাজুলুল বেগম, স্ত্রী কাকলী বেগম। বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, সাইদুর হত্যার একমাস পেরিয়ে গেলেও হত্যা রহস্য উদঘাটনে পুলিশের পক্ষ থেকে কোন ধরনের তৎপরতা পরিলক্ষিত হয়নি।
এই দীর্ঘ সময়েও খাদিজা ব্যাতিত একজন আসামিও গ্রেফতার হয়নি। এটাকে প্রশাসনিক দূর্বলতা হিসেবে দেখছেন তারা। তারা আরও বলেন, পুলিশ চাইলে এত দিনে হত্যাকান্ডে জরিত সকল আসামিকে গ্রেফতার করতে পারত। অপরাধীরা গ্রেফতার না হওয়ায় বর্তমানে নিহতের পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
বক্তব্যে নিহতের স্ত্রী কাকলি বেগম অভিযোগ তীর ছুরেছেন সরাসরি সাইদুরের ছোট স্ত্রী খাদিজার দিকে। তিনি কান্নাজরিত কন্ঠে বলেন,ওই খাদিজা আমার স্বামীকে হত্যা করিয়েছে ও সব জানে ওকে রিমান্ড দিলেই সব কিছু বেরিয়ে আসবে। আমি ওর ফাঁসি চাই।
ও আমার ৩ টা বাচ্চা এতিম বানাইছে, আমারে বিধবা করছে, আমার সন্তানরা এখন কার কাছে আশ্রয় নিবে? অপর দিকে সাইদুরের বোনেরা বলেন,আমার ভাই শান্ত মানুষ ছিলো। তার কোন শত্রু ছিলোনা। এক মাত্র ওই ছোট বউ খাদিজার কারনে আজকে আমার ভাই নির্মমভাবে খুন হয়েছে।
সাইদুর হত্যা মামলার স্বাক্ষী মোসা.আনোয়ারা বলেন,ঘটনার দিন সাইদুরের ঘরে গিয়ে তার ছোট স্ত্রী খাদিজাকে রান্না ঘরের পাশে দাড়ানো দেখতে পাই। এরপর তাকে নিয়ে দোতলার ঝাপ খুলে উঠে সাইদুরকে হাতপা বাধা অবস্থায় দেখি। তখন বাড়িতে আর কেউ ছিলো না।
মানববন্ধন থেকে আসামিদেরকে দ্রুত গ্রেফতারে প্রশাসনের কাছে জোরালো আবেদন জানিয়েছেন স্বজন সহ এলাকাবাসীরা। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারী দিয়ে সকলকে পাশে থাকার আহ্বান জানান তারা। উল্লেখ্য গত (৯ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে নয়টার দিকে উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নের মধ্য টিয়াখালী গ্রামে হাতপা বেঁধে ধারালো অস্ত্রদিয়ে সাইদুর সরদারকে (৩৫) খুন করে দূর্বৃত্তরা।
এর পর তার ভাই মোঃ শাহজালাল বাদি হয়ে আদালতে মামলা করেন। নিহত সাইদুর একই গ্রামের মৃত তৈয়ব আলী সরদারের ছেলে। কলাপাড়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: আলী আহমেদ বলেন, মামলার একজন আসামী বাকি সব আজ্ঞাত আসামী রিমান্ডে এনে যে তথ্য পাওয়া গেছে তা যাচাই বাছাই চলছে। অন্য কেউ জড়িত থাকলে তাকেও গ্রেফতার করা হবে।