স্টাফ রিপোর্টারঃ আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ ওরফে খোকন সেরনিয়াবাত বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়রের দায়িত্ব নেওয়ার ২৮ দিন পর অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ পাওয়া ১৩৪ জন কর্মচারীর নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় তাদের নিয়োগ বাতিল করেন সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুমা আক্তার (ভারপ্রাপ্ত)।
আরও ৫১ জন কর্মচারীর নিয়োগ বাতিল করা হবে বলে নিশ্চিত করেছেন তিনি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে প্রতিষ্ঠানের প্রশাসন, ভাণ্ডার, হাটবাজার, কর আদায়, বিদ্যুৎ সম্পত্তি, পরিছন্নতা,
জন্ম নিবন্ধন, সিটি নিরাপত্তা, প্রকৌশল, সম্পত্তি, বাণিজ্য ও জনসংযোগসহ কয়েকটি শাখায় কর্মরত ১৩৪ জন কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।
এ সংক্রান্ত একটি নোটিশ সিটি করপোরেশনের বোর্ডেও টাঙিয়ে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। আরও ৫১ কর্মচারীকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কর্মস্থলে আসার জন্য নিষেধ করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, এসব কর্মচারী সিটি করপোরেশনের সদ্য সাবেক মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহর বিদায় নেওয়ার এক মাস আগে নিয়োগ পেয়েছেন।
তবে নিয়োগ বাতিল হওয়া কর্মচারীদের অভিযোগ, তারা দুমাস কাজ করলেও তাদের কোনো টাকা না দিয়ে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। সিটি করপোরেশনের নিরাপত্তাকর্মী শহিদুল ইসলাম বলেন, দুই মাস চাকরি করেছি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নগরভবনে গেলে প্রশাসনিক কর্মকর্তা জানিয়ে দেন আর আসতে হবে না।
আমাকে এক মাসেরও বেতন দেওয়া হয়নি। তাজাম্মুল ইসলাম বলেন, নভেম্বর মাসের ১ তারিখ চাকরিতে যোগদান করেছি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অফিস করেছি।
এরপর জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আমাদের নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে। এ ব্যাপারে বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মাসুমা আক্তার বলেন, প্রয়োজনের চেয়ে দ্বিগুণ কর্মচারী রয়েছে তাদের।
আর এসব কর্মচারী দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া। নিয়োগ দেওয়ার সময় শর্ত ছিল যখন ইচ্ছা কর্তৃপক্ষ তাদের চাকরি বাতিল করতে পারে।
তাই ১৩৪ জনের নিয়োগ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাতিল করা হয়েছে। বাকি ৫১ জনের নিয়োগ আগামী রোববার বাতিল করা হবে।