কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় শাওন (৩৫) নামের এক যুবককে হাত—পায়ের রগ কেটে, উপর্যুপরি কুপিয়ে হত্যা চেষ্টার মামলায় দুই পৌর কাউন্সিলর জাকি হোসেন জুকু, খায়রুল হাসনাত খালিদ সহ ৮ জনের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) এ ঘটনার পুলিশি রিপোর্ট আদালত গ্রহন করে আসামীদের সময় আবেদন নামঞ্জুর করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। এবং আদালতে উপস্থিত দুই আসামীর অপরাধ বিবেচনায় তাদের স্থায়ী জামিন মঞ্জুর করেন।
আদালতের জিআর শাখার পুলিশ কর্মকর্তা মো: কাওসার এ আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে ১৭ জুলাই ২০২৩ বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত ভিকটিম শাওনের নালিশী মামলা আমলে নিয়ে ওসি, কলাপাড়াকে এজাহার গ্রহনের নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে দুই কাউন্সিলর জুকু, খালিদ সহ ৮ জন উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন লাভ করেন।
উচ্চ আদালতের জামিন মেয়াদ শেষে ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ পটুয়াখালী চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত আসামীদের জামিন আবেদনের শুনানী শেষে পুলিশ রিপোর্ট পর্যন্ত তাদের জামিন বর্ধিত করেন। উল্লেখ্য পাওনা টাকা চাওয়ার জেরে ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ সন্ধ্যায় জুকু, খালিদ, বাবু, নাহিদসহ ১০ সশস্ত্র সন্ত্রাসী শহরের ঝলক ফ্যাশন হাউজের সামনের সড়কে শাওনকে হত্যা চেষ্টা করে।
এসময় ধারালো অস্ত্রের কোপে ভিকটিমের মাথা সহ শরীরের বিভিন্ন অংশে গুরুতর জখম করে সন্ত্রাসীরা। এক পর্যায় শাওনের হাত—পায়ের রগ কেটে দিয়ে অতিরিক্ত রক্ষ ক্ষরনের ফলে মৃত্যু নিশ্চিত ভেবে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে তারা। নারকীয় এ ঘটনার পর ভিকটিমের পিতা থানায় অভিযোগ দেয়ার প্রস্তুতি নিলে পুরো পরিবার সহ বাড়ি—ঘর পুড়িয়ে দেয়ার হুমকী দেয়।
এরপর সকল ভয়ভীতি উপেক্ষা করে শাওন তার উপর নৃশংশতার বিচার পেতে আদালতে মামলা দায়ের করতে এলে সন্ত্রাসীরা শাওনকে ধরে নিয়ে তাদের টর্সার সেলে অমানুষিক নির্যাতন করে। গনমাধ্যমকে শাওন বলেন, ’আমার উপর জুকু—খালিদ বাহিনী যে জঘন্য পৈচাশিকতা চালিয়েছে আমি এর বিচারের জন্য আদালতে এসেছি। আমি ন্যায় বিচার পেতে সরকারের সহযোগীতা চাই।
এ ব্যাপারে কাউন্সিলর জাকি হোসেন জুকু বলেন, ’আমি ও আমার ছোট ভাই কাউন্সিলর খালিদের জনপ্রিয়তায় ইর্ষান্বিত হয়ে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা অসৎ উদ্দেশ্যে ১০ বছর পূর্বের ঘটনার সাথে আমাদের জড়িয়ে মিথ্যা মামলা করেছে।’