বরিশালের উজিরপুর উপজেলার হারতা ইউনিয়নে ঐতিহ্যবাহী হারতা বন্দরে দীর্ঘদিনের ভোগদখলীয় ঘরবাড়ি ও দোকান মালিকদের কোন প্রকার নোটিশ প্রদান না করে দশটি ঘর ও দোকান উচ্ছেদ করে গুড়িয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেন হারতা বাজার ব্যবসায়ীবৃন্দ।
১৭ মে শুক্রবার সকাল ১০ টায় এ প্রতিবাদ মিছিল করা হয়। স্থানীয় ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, ১৬ মে বিকেল তিনটায় আকস্মিকভাবে বরিশাল কোর্টের উকিল কমিশনার পরিচয় দিয়ে উজিরপুর উপজেলা সহকারী ভূমি হাসনাত জাহান খাঁন সহ থানা পুলিশ এবং বাদীপক্ষের লোকজন এসে প্রভাষক সুভাষচন্দ্র বিশ্বাসের বসতঘর ও ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান,
পল্লি চিকিৎসক নগেন্দ্রনাথ হালদারের দোকান ঘর, দেবদাস মল্লিক, সুখ চাঁদ বিশ্বাস, মোঃ আব্দুল লতিফ সান্টু, চিত্তরঞ্জন সহ ১০ জনের দোকান ঘর ও ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদের নামে ভেঙে গুড়িয়ে দেয়। তারা আরো জানান মামলার বিবাদীদের কারো ঘরবাড়ি ভাঙা হয়নি।
যাদের ঘরবাড়ি ভেঙে ফেলা হয়েছে তারা কেহই মামলার বিবাদী নয়। ভুক্তভোগীরা কান্নায় লুটিয়ে পরে উপস্থিত সকলের কাছে মালামাল সরিয়ে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করলেও তারা এতে কর্ণপাত না করে ২ থেকে আড়াই ঘণ্টার মধ্যে সব ঘরবাড়ি ভেঙে ফেলে। আকর্ষিক উচ্ছেদের ফলে ভুক্তভোগীদের কয়েক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন তারা।
পল্লি চিকিৎসক নগেন্দ্রনাথ হাওলাদার বলেন এ ধরনের আকস্মিক উচ্ছেদের ফলে আমরা গৃহীন হয়ে গতরাত থেকে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছি। ভুক্তভোগী প্রভাষক সুভাষ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন আমরা এই জমি এস এ রেকর্ডিং ও মালিক কুটি শ্বর মল্লিকের কাছ থেকে ১৯৯৫ সালের ২৮ জানুয়ারি সাবকবলা মূলে মালিক হয়ে দোকানপাটসহ ঘর বাড়ি তৈরি করে বসবাস করে আসছি এবং সর্বশেষ মাঠ জরিপ বিএসএ রেকর্ডিং মালিক।
কিন্তু মামলার বাদী সুকৌশলে আমাদের বিবাদী না করে ও কোন প্রকার নোটিশ না দিয়ে একতরফা মামলা ডিক্রি করিয়ে অমানবিকভাবে উচ্ছেদ করেন।এমনকি অজ্ঞাত কারণে প্রকৃত দখলীয় মালিকদের কে না জানিয়ে উচ্ছেদ অভিযান করেন। আকস্মিক অভিযানে আমরা দশটি পরিবার পথে বসেছি, রাত থেকে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছি।
সুধু তাই নয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমির ঘরবাড়ি মালিকানা দাবি করে এই অভিযানে ভেঙে ফেলা হয়েছে বলে তারা দাবি করেন। এ বিষয়ে মামলার বাদী রমেন্দ্রনাথের কাছে বারবার ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। উজিরপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) হাসনাত জাহান খাঁন জানান জমি নিয়ে জজ্ কোর্টের আদেশের প্রেক্ষিতে উকিল কমিশনার নিয়োগ হয়েছে। অভিযানে আইন শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য আমাকে ওখানে পাঠানো হয়েছিল। এ ছাড়া অন্য কিছু আমার জানা নেই।