মাদারীপুরের কালকিনিতে বিভিন্ন কোরবানির পশুর-হাটগুলো বেশ জমে উঠেছে। ৭০ হাজার থেকে দুই লাখ টাকার মধ্যে মিলছে কাঙ্ক্ষিত গরু। তবে দাম নিয়ে অখুশি খামারি ও বিক্রেতারা তবে খুশী ক্রেতারা। প্রাকৃতিকভাবে গরু লালন-পালন হওয়ায় কালকিনিতে কোরবানির গরুর চাহিদা সমতলেও। হাট গুলোতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পাইকাররা আসছেন। ক্রেতা বিক্রেতায় মুখর জেলার প্রতিটি হাটবাজার। এখানকার দেশি জাতের মাঝারি এবং ছোট আকৃতির গরুর ও ছাগলের চাহিদা রয়েছে দেশব্যাপী। তাই বাইরের ব্যবসায়ীরা গরু নিয়ে যাচ্ছে সমতলে।
কালকিনিতে ১৪ টি স্থানে রয়েছে কোরবানির পশুর হাট। এখানে ছোট আকারের গরু ৬০ থেকে ৭০ হাজার,মাঝারি আকারের গরু ৭০ থেকে ৮০ হাজার এবং বড় গরু ১ থেকে ২ লাখ বিক্রি হচ্ছে। কৃত্রিম কোন ঔষধ ব্যবহার না করে এখানে প্রাকৃতিকভাবে গরু পালন করা হয় বলে জানা যায় এ কারণে প্রতি বছরের মতো এবারও বিপুল সংখ্যক সমতলের ব্যবসায়ীর আগমন ঘটেছে উপজেলায় কিন্তু দাম নিয়ে অ-খুশি-বিক্রেতা তবে ক্রেতারা খুবই খুশি।
মাদারীপুরের এ জেলায় ছোট ছোট বেশ কিছু খামারে পালন করা হয় দেশি-বিদেশি জাতের গরু। তবে এখানকার অধিকাংশ গরু, ছাগল স্থানীয় কৃষকেরা লালন পালন করেন।
জেলার ৫টি উপজেলায় অনেক কোরবানি পশুরহাট রয়েছে। হাট গুলোতে ঘুরে দেখা গেছে ক্রেতা বিক্রেতাদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কালকিনি পৌরসভার গরুর হাটে গরু কিনতে আসা এইচ এম মিলন জানান, বাজারে গরু বিক্রেতার ব্যবসায়ী বেশি আর দালালের উপস্থিতি অনেক কম আছে।যে গরু ১ লাখ টাকায় বিক্রি হবে তার অধিক দাম চাওয়া হচ্ছে।
গো খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় গরু লালন পালন করতে খরচ বেড়েছে। প্রত্যাশিত মূল্য না পাওয়ায় তারা হতাশ।
উপজেলায় কোরবানি পশুর হাট মোট ১৪টি বিশেষ করে গোপালপুর, কালকিনি গরুর হাট,ফাসিয়াতলা, সাহেবরামপুর,রমজানপুর হাটের ইজারাদার জানিয়েছেন কোরবানির হাট জমে উঠেছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার উত্তম কুমার দাশ ও থানার অফিসার ইনচার্জ সরকার আব্দুল্লাহ আল-মামুন বলেন, গরুর হাট কেন্দ্রিক গোয়েন্দা নজরদারিসহ সার্বক্ষণিক পুলিশের টহল রয়েছে। হাটে পশু বিক্রি করে বিক্রেতারা যেন অর্থ নিয়ে নিরাপদে বাড়ি যেতে পারে পুলিশ সে বিষয়ে সজাগ রয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।