More

    গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৬২ ফিলিস্তিনি নিহত

    অবশ্যই পরুন

    ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় টানা ইসরায়েলি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন আরও অন্তত ৬২ জন ফিলিস্তিনি। নিহতদের বড় একটি অংশ মানবিক সহায়তা সংগ্রহের সময় লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছেন বলে জানিয়েছে আল জাজিরা।

    শনিবার (২ আগস্ট) ভোর থেকে শুরু হওয়া হামলায় এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে বলে স্থানীয় হাসপাতাল সূত্রের বরাত দিয়ে জানায় সংবাদমাধ্যমটি। হতাহতদের মধ্যে বেশিরভাগই গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) পরিচালিত স্থানে সহায়তা নিতে গিয়ে হামলার শিকার হন। বিতর্কিত এই সংস্থাটি যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের প্রত্যক্ষ সহায়তায় পরিচালিত হচ্ছে।

    জিএইচএফ-এর সহায়তা কেন্দ্রে এর আগেও এমন প্রাণঘাতী হামলার ঘটনা ঘটেছে। অথচ মাত্র গত সপ্তাহেই ইসরায়েল ঘোষণা দিয়েছিল, মানবিক সহায়তার প্রবাহ অব্যাহত রাখতে তারা প্রতিদিন নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় হামলায় ‘কৌশলগত বিরতি’ দেবে।

    এই ঘোষণার পর ২৭ জুলাই থেকে বিরতি কার্যকর হলেও বাস্তবে তার প্রভাব সীমিত। জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর জানিয়েছে, শুধু গত বুধবার ও বৃহস্পতিবারেই সহায়তা নিতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ১০৫ জন ফিলিস্তিনি।

    জাতিসংঘের তথ্যমতে, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধের পর থেকে এখন পর্যন্ত ত্রাণ নিতে গিয়ে মোট ১ হাজার ৩৭৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, একই সময়ে অপুষ্টি ও অনাহারে আরও ১৬৯ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ৯৩ জন শিশু।

    গাজার বাসিন্দাদের অভিযোগ, সহায়তা নেওয়ার সময় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নিরাপত্তা চুক্তিতে থাকা মার্কিন কন্ট্রাক্টরদের গুলিতে বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।

    গাজার ক্রমবর্ধমান মানবিক বিপর্যয় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তীব্র সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। জর্ডান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিসর, স্পেন, জার্মানি ও ফ্রান্স বর্তমানে আকাশপথে ত্রাণ সরবরাহ করলেও তা চাহিদার তুলনায় খুবই অপ্রতুল।

    জাতিসংঘের ফিলিস্তিনিদের জন্য মানবিক সহায়তা সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ এবং অন্যান্য মানবিক সংগঠনগুলো বলছে, আকাশপথে ত্রাণ দেওয়া যতটা প্রতীকী, তারচেয়ে বেশি জরুরি হলো স্থলপথে সহায়তা পৌঁছানোর সুযোগ নিশ্চিত করা।

    এদিকে গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, শনিবার মাত্র ৩৬টি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করতে পেরেছে উপত্যকায়, যেখানে প্রতিদিন প্রয়োজন কমপক্ষে ৬০০টি ট্রাক।

    একইদিনে খান ইউনিসে ফিলিস্তিন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সদর দপ্তরে ইসরায়েলি হামলায় একজন কর্মী নিহত এবং আরও তিনজন আহত হয়েছেন। সংস্থাটির পক্ষ থেকে এক্সে দেওয়া এক পোস্টে জানানো হয়, হামলায় ভবনের প্রথম তলায় আগুন ধরে যায়।

    গাজার দেইর আল-বালাহ থেকে আল জাজিরার সাংবাদিক হিন্দ খোদারি জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক ত্রাণ সরবরাহ পরিস্থিতি পরিবর্তন আনতে পারেনি। বাজারে খাবার প্রায় নেই, যা সামান্য পাওয়া যায় তা সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। বাধ্য হয়ে বহু মানুষ জীবন ঝুঁকিতে ফেলে খাদ্য সংগ্রহ করছেন।

    সম্পর্কিত সংবাদ

    সর্বশেষ সংবাদ

    শের- ই- বাংলার ১৫২তম শুভ জন্মদিন উদযাপন

    রাহাদ সুমন,বিশেষ প্রতিনিধি :বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার চাখার ও ঢাকায় বিস্তারিত কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বাঙালী জাতীয়তাবাদের অবিসংবাদিত নেতা শের-ই-বাংলা একে...