More

    ভোটকেন্দ্র দখল না হলে এবার বিএনপি ৫০ আসনের বেশি পাবে না- অধ্যাপক মুহাম্মদ শাহ আলম

    অবশ্যই পরুন

    স্টাফ রিপোর্টার: পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার গজালিয়া ইউনিয়নে আগুনে পুড়ে যাওয়া ক্ষতিগ্রস্তদের খোঁজ-খবর নিতে গিয়ে এমন মন্তব্য করেন – সাবেক জেলা আমীর, বরিশাল অঞ্চল টিম সদস্য এবং পটুয়াখালী-৩ (দশমিনা-গলাচিপা) সংসদীয় আসনের জামায়াতে ইসলামী’র মনোনীত প্রার্থী – অধ্যাপক মুহাম্মদ শাহ আলম তিনি বিএনপ’র উদ্দেশ্য করে আরো বলেন, “আপনার নেতাদেরকে বলুন—বিএনপি কর্তৃক যদি একটি সিংগেল ভোটকেন্দ্রও দখল হয়, তাহলে ওই আসনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোট পাওয়া প্রার্থীকে নির্বাচিত ঘোষণা করা হোক।

    এই ঘোষণা দেয়ার সৎ সাহস কি তাদের আছে? ২০০৯ সালে আপনারাও মাত্র ২৯ আসন পেয়েছিলেন—এ ইতিহাস জনতা জানে। তাই ২০২৪-পরবর্তী বাংলাদেশকে আগের সাথে তুলনা করবেন না।” এ সময় অধ্যাপক শাহ আলম ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, জামায়াত সবসময় দুর্যোগ ও বিপদে মানুষের পাশে ছিল এবং থাকবে।

    ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের আর্থিক সহায়তাসহ পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেয়া হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। উল্লেখ্য, শুক্রবার (১৫ আগস্ট) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার গজালিয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড চর চন্দ্রাইল স্কুল বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এতে আনুমানিক ৫০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

    ক্ষতিগ্রস্ত দোকানগুলো হলো— বাহার চৌকিদারের চা-পান ও কসমেটিকসের দোকান, রুবেল খানের কসমেটিকসের দোকান, অলিউল্লাহ খানের কম্পিউটার ও ফটোকপির দোকান ও খোকন গাজীর চায়ের দোকান। এছাড়া আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রেজাউল গাজীর কীটনাশকের দোকান, হাফেজ গাজীর ফার্মেসি ও আনোয়ার গাজীর টেইলার্সের দোকান। স্থানীয়রা জানান, গভীর রাতে হঠাৎ দোকান থেকে ধোঁয়া ও আগুন বের হতে দেখে মসজিদের তবলিগ জামায়াতের সদস্য মো. সোহেল চিৎকার করেন।

    পরে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে লোকজন জড়ো করা হয়। স্থানীয়রা বালতির পানি দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালালেও মুহূর্তেই আগুন পাঁচটি দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। প্রায় এক ঘণ্টা পর স্থানীয়দের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে ততক্ষণে দোকানগুলো সম্পূর্ণ পুড়ে যায় এবং তিনটি দোকান আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

    এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন স্থানীয় প্রশাসন, রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও জনপ্রতিনিধিরা। এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য লুৎফর রহমান বলেন, দোকানঘরসহ সব মালামাল পুড়ে গেছে। আমরা ক্ষয়ক্ষতির তালিকা উপজেলা প্রশাসনের কাছে জমা দেব।

    গলাচিপা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন সাব অফিসার মো. কামাল হোসেন জানান, রাত ৩টার দিকে ৯৯৯ এ খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। তবে পথিমধ্যে খবর পান স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছেন।

    কিন্তু এরই মধ্যে দোকানগুলো ভস্মীভূত হয়। আগুনের সূত্রপাত প্রাথমিকভাবে জানা না গেলেও স্থানীয়দের ধারণা বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

    সম্পর্কিত সংবাদ

    সর্বশেষ সংবাদ

    বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১০

    বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুই বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১০ জন শিক্ষার্থী আহত...