More

    বরিশালে মেয়ের পরকীয়া ধরে ফেলায় জামাতাকে ডেকে নিয়ে হত্যা!

    অবশ্যই পরুন

    বরিশালের বাবুগঞ্জে মেয়ের পরকীয়ায় ধরে ফেলায় জামাতাকে দাওয়াত করে ডেকে এনে বিষ খাইয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে শ্বশুরবাড়ির লোকদের বিরুদ্ধে। উপজেলার মাধবপাশা ইউনিয়নের লাফাদী গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত জামাতা মো. সাগর হাওলাদার ওই গ্রামের মো. আনিসুর রহমানের ছেলে এবং পেশায় তিনি বরিশাল নগরীর কাউনিয়া বিসিকে ঝুটমিলের শ্রমিক ছিলেন।

    রবিবার দুপুরে বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালের মর্গে সাগরের লাশের ময়নাতদন্ত হয়েছে। নিহতের বাবা আনিসুর রহমান জানান, দুই বছর আগে পারিবারিকভাবে সাগর হাওলাদারের সঙ্গে একই গ্রামের মুন্সিবাড়ির মাহাবুব আলমের মেয়ে মারিয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের পর এক হিন্দু যুবকসহ তিন যুবকের সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে ওঠে মারিয়ার।

    যা গত ছয় মাস আগে ধরা পড়ে। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিরোধ শুরু হলে প্রায় দেড় মাস আগে মারিয়া তার বাবার বাড়ি চলে যায়। ঘটনার দুই দিন আগে ১৭ সেপ্টেম্বর সাগরের কাছ থেকে দেড় হাজার টাকা ধার নেন তার শাশুড়ি। টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলে ১৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৬টার দিকে শ্বশুরবাড়িতে ডেকে নেওয়া হয় সোহাগকে।

    রাতে সাগর বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে দাবি করে তাকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করে পালিয়ে যান শ্বশুরবাড়ির লোকজন। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের কাছ থেকে খবর পেয়ে ওই দিন রাত ১১টার দিকে হাসপাতালে যান সাগরের বাবা আনিসুর রহমান। এর কিছুক্ষণ পরেই মৃত্যু হয় সাগরের।

    আনিসুর রহমানের দাবি, মৃত্যুর আগে সাগর জানিয়ে গেছে, তাকে মারধর করে জোরপূর্বক বিষপান করিয়েছে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা।” সাগরের মৃত্যুর পর শনিবার ভোরে তার লাশ বাড়িতে নিয়ে যান স্বজনরা। পরে এই ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করে তার পরিবার।

    এর প্রেক্ষিতে বরিশাল মেট্রোপলিটন এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ সাগরের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। সাগরের মেঝখালা সাথী বেগম বলেন, বিয়ের পর ছয় মাস ধরে একাধিক যুবকের সাথে পরকীয়া সম্পর্কে জড়ায় মারিয়া। এর একাধিক ভিডিও ফুটেজ আমাদের কাছে আসে। বিষয়টি জানাজানি হলে মারিয়ার বাবা বিদেশে যাবে বলে মারিয়াকে বাড়িতে নিয়ে যায়। এরপর শুক্রবার রাতে মারিয়া, তার মা, বাবা এবং ভাই মিলে সাগরকে মারধর করে মুখে বিষ ঢেলে দেয়।

    সাগরের মাথায় আঘাতের চিহ্ন এবং নাক-মুখ থেকে রক্তও বের হয়েছে।’ এয়ারপোর্ট থানার ওসি আল মামুন উল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ছাড়া মৃত্যুর সঠিক কারণ বলা সম্ভব নয়। কেননা নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।

    তাছাড়া বিষপানের কারণে নাক-মুখ থেকে রক্ত বের হতে পারে বলে জানিয়েছেন ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসক। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানান তিনি।

    সম্পর্কিত সংবাদ

    সর্বশেষ সংবাদ

    অনিয়ম বা গোষ্ঠীগত প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করলে কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা – জেলা প্রশাসক

    ওবায়দুর রহমান অভি, পটুয়াখালী প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর দুমকীতে নবাগত জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ শহিদ হোসেন চৌধুরী বলেছেন, অনিয়ম বা...