স্টাফ রিপোর্টার: উত্যক্ত‘র প্রতিবাদ করায় গলাচিপা সরকারি কলেজের এক ছাত্রী ও তার বৃদ্ধ বাবাকে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে। নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে চরমোন্তাজ ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি ও তার চাচাতো ভাইয়ের বিরুদ্ধে। নির্যাতনের সময় ভুক্তভোগীর শরীর থেকে কাপর খুলে নেয়া হয় বলে অভিযোগ ভূক্তোভোগী ছাত্রীর।
এ হামলায় আহত ডায়না আক্তার (২৩) ও তার বৃদ্ধ বাবা রহিম খা(৭০)গলাচিপা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। কিন্তু শুক্রবার সকাল থেকে তাদেরকে হাসপাতালে দেখা যাচ্ছে না।
গত বুধবার দুপুরে রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের স্লুইস বাজারে এ ঘটনা ঘটে। ডায়না গলাচিপা ডিগ্রী কলেজে তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
গলাচিপা হাসপাতালে ভর্তি থাকা ডায়না আক্তার জানান,‘স্থানীয় স্লুইজ বাজারে তার সত্তর বছরের বৃদ্ধ বাবা চা-পানের দোকান করেন। সেও তার বাবার সাথে দোকানে সহাযতা করেন। গতকাল বুধবার দুপুরে স্থানীয় ওয়ার্ড বিএনপির নেতা রেজাউল মাতব্বরের ছেলে সায়মুন মাতব্বর (২৩) তাকে নানা ইঙ্গিত মূলক কথা বলে। এ সময় ডায়না প্রতিবাদ করলে সায়মুন লোহার রড দিয়ে তার মাথায় (ডায়নাকে) প্রচন্ড ভাবে আঘাত করে। এঘটনা দেখে তার বৃদ্ধ বাবা এগিয়ে আসলে সায়মুন তার বাবাকেও মারধোর করে। এরপর সায়মুনের ও তার চাচাতো ভাই চরমোন্তাজ ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি তারিকুল ইসলাম মিঠুন মাতব্বর।
ডায়না আরও বলেন,‘মারধোরের সময়ে সায়মুন ও মিঠুন তার শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে আঘাত করে। এবং তার বাবার পড়নের লুঙ্গি খুলে নেয়। এরপর প্রায় আধা ঘন্টা ধরে তাদের মারধোর করা হয়। ওই মারধোরে তিনি ও তার বাবার শরীরের নানা অংশ ফুলা জখম হয়েছে। এছাড়াও ডায়না একটি চোখেও আঘাত প্রাপ্ত হয়েছে। ডায়না আরও বলেন,এর আগে সায়মুন তার সাথে জবরদোস্তিতে লিপ্ত হয়েছিল। এঘটনায় এলাকার গন্যমানদের কাছে বিচার দিলেও কোন প্রতিকার পাননি।
জানা গেছে,চরমোন্তাজ ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাকির মাতব্বরের ছেলে ছাত্রদল নেতা তারিকুল ইসলাম মিঠুন। আর সায়মুনের বাবা রেজাউল মাতব্বর চরমোন্তাজ ওয়ার্ড বিএনপির নেতা।
এ বিষয়ে ছাত্রদল নেতা তারিকুল ইসলাম মিঠুন বলেন,‘ঘটনার সময় ডায়না (ভুক্তভোগী) তার চাচীর সঙ্গে খারাপ আচরণ ও গালাগালি করেন। যা দেখে আমিও ও আমার চাচাতো ভাই সায়মুন চুপ থাকতে পারেনি। তবে ওই মেয়ে ও তার বাবা আমার চাচাতো ভাই সায়মুনকে আঘাত করেছে। সায়মুন এখন গলাচিপা হাসপাতালে ভর্তি আছে’।
এ প্রসঙ্গে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কপ্লেক্সের চিকিৎসক ডাক্তার তুষার আহমেদ বলেন, ডায়না ফুলা জখম নিয়ে গলাচিপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছে।
রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম হাওলাদার বলেন,‘এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেননি। তবে খোঁজ নিয়ে দেখছি’।