পটুয়াখালীর কুয়াকাটা ২০ শয্যার সরকারি হাসপাতাল আবারও চিকিৎসকশূন্য হয়ে পড়েছে। সর্বশেষ কর্মরত থাকা একমাত্র চিকিৎসক ডা. সুপ্রিয়া দাস গত ১৭ সেপ্টেম্বর বদলিজনিত কারণে অন্যত্র যোগদান করেছেন। ফলে এ হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা কার্যত বন্ধ হয়ে পড়েছে।
জানা গেছে, ২০১০ সালের ১ জুলাই আফরোজা আকবর নামে প্রথম একজন চিকিৎসক পদায়নের মাধ্যমে এ হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু হয়। কিন্তু ২০১১ সালের ৩ জানুয়ারি রহস্যজনকভাবে ওই চিকিৎসক লাপাত্তা হয়ে যান। পরে ২০১২ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর থেকে কখনো একজন, কখনো দুইজন চিকিৎসক দিয়ে নামমাত্র সেবা চালু ছিল।
হাসপাতালটিতে চারজন জুনিয়র কনসালট্যান্ট, একজন আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ও একজন মেডিক্যাল অফিসারসহ মোট ছয়টি চিকিৎসকের পদ রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে কোনো চিকিৎসকই কর্মরত নেই। কাগজপত্রে হাসপাতালটিতে ১৭ জন জনবল থাকার কথা থাকলেও ১২টি পদ খালি। সিনিয়র স্টাফ নার্স রয়েছেন পাঁচজন, বাকি জনবলও অনেকেই প্রেষণে অন্যত্র যোগ দিয়েছেন।
বর্তমানে জরুরি বিভাগ ও বহির্বিভাগ কোনোভাবে চালানো হচ্ছে একজন উপসহকারী মেডিক্যাল অফিসারের মাধ্যমে। এতে পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটায় আগত পর্যটক ও স্থানীয় বাসিন্দারা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। স্থানীয় বাসিন্দা মনিরুজ্জামান জানান, হাসপাতাল চালুর পর থেকে পূর্ণাঙ্গ জনবল পদায়ন করা হয়নি। ফলে কুয়াকাটা পৌরসভা ও পার্শ্ববর্তী মহিপুর, লতাচাপলী ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। ‘আমরা কুয়াকাটাবাসী’ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সভাপতি হাফিজুর রহমান আকাশ বলেন, কুয়াকাটা একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র।
তাই পর্যটক ও স্থানীয় মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে হাসপাতালটিতে জরুরি ভিত্তিতে পর্যাপ্ত চিকিৎসক পদায়ন করে পূর্ণাঙ্গভাবে চালু করা প্রয়োজন। এ বিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শংকর প্রসাদ অধিকারী বলেন, কুয়াকাটাসহ উপজেলায় চিকিৎসক সংকট রয়েছে।
এ সমস্যা নিরসনে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। আপাতত একজন উপসহকারী মেডিক্যাল অফিসারকে জরুরি ও বহির্বিভাগ পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।