যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ক্ষমতায় আসার পর গত ৯ মাসে প্রায় ৮০ হাজার নন–ইমিগ্র্যান্টের (অভিবাসনপ্রত্যাশী) ভিসা বাতিল করেছে। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই তথ্য জানিয়েছে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গত ২০ জানুয়ারি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। নির্বাচনী প্রচারণায় তিনি ‘যুক্তরাষ্ট্রকে অবৈধ অভিবাসীমুক্ত’ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এবং ক্ষমতায় এসে সে লক্ষ্যে নির্বাহী আদেশেও সই করেন।
যে ৮০ হাজার মানুষের ভিসা বাতিল করা হয়েছে, তাদের সবাই নথিবিহীন অভিবাসী নন; অনেকে বৈধ খণ্ডকালীন ভিসাধারীও ছিলেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বাতিল হওয়া ভিসাধারীদের মধ্যে ১৬ হাজার জনের ভিসা বাতিল হয়েছে ‘মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানোর’ কারণে, ১২ হাজার জনের ‘হামলা বা সহিংসতার’ অভিযোগে, আর ৮ হাজার জনের ভিসা ‘চুরির’ অভিযোগে বাতিল করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, ‘যাদের ভিসা বাতিল হয়েছে, তাদের অর্ধেকই এই তিন ধরনের অপরাধের সঙ্গে যুক্ত।’ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র আরও জানান যে, গত আগস্টে ৬ হাজার বিদেশি শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করা হয়েছে। ভিসার মেয়াদ পার হয়ে যাওয়ার পরও থাকার পাশাপাশি আইনভঙ্গ ও ‘সন্ত্রাসবাদে সমর্থন’ দেওয়ার অভিযোগ ছিল তাদের বিরুদ্ধে।
গত মে মাসে এক অনুষ্ঠানে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জানিয়েছিলেন, মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যেই হাজার হাজার নন–ইমিগ্র্যান্টের ভিসা বাতিল করেছে এবং এই প্রক্রিয়া চলমান থাকবে। তিনি বলেন, ‘যাদের কর্মকাণ্ড যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির অগ্রাধিকারগুলোর সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়, তাদের ভিসা বাতিল করা হচ্ছে।’
নির্বাহী আদেশের পর প্রথমে ওয়াশিংটনে এবং পরবর্তীতে দেশজুড়ে অভিযান শুরু হয়, যেখানে পুলিশ, কাস্টমস পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যরা অংশ নিয়ে হাজার হাজার নথিবিহীন অভিবাসীকে আটক করে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠায়।
সূত্র: রয়টার্স
