বরিশালের আগৈলঝাড়ায় ডালিম বেপারী নামের এক যুবক মায়ের আত্মহত্যা করার পনেরো দিনের মাথায় ছেলে আত্মহত্যা করেছে। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় যুবক ডালিমের লাশ উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছে। থানা অফিসার ইনচার্জ মো. আফজাল হোসেন জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে এসআই মো. ফোরকান সঙ্গিয় ফোর্স নিয়ে ডালিম বেপারী (২৩) এর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেন। ডালিম উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের ভাজনা বাহাদারপুর গ্রামের শান্তি রঞ্জন বেপারীর ছেলে। দুই ভাইয়ের মধ্যে ডালিম বড়, ডালিম গত বছর এইচএসসি পাশ করে। স্থানীয় চৌকিদার মিজানুর রহমান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ডালিমের ঘরের পিছনের বাগানের একটি গাব গাছ থেকে অন্তত ১৫ ফুট উচ্চতা থেকে ডালিমের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। স্থানীয়দের বরাত দিয়ে এসআই ফোরকান জানান, গত ১৫ দিন আগে ডালিমের মা সুস্মিতা ওরফে রেখা বেপারী পারিবারিক কলহের জের ধরে আত্মহত্যার জন্য ঘরে থাকা কীটনাশক পান করেন। মায়ের বিষ পানের খবর পেয়ে ওই দিন ডালিম গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলে স্থানীয়রা দেখে ফেললে গলার রশি কেটে ডালিমকে উদ্ধার করেন তারা। গুরুতর অসুস্থাবস্থায় ডালিমের মা’কে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ডালিমের মা মারা যায়। মায়ের বিষপান করার দিনসহ এর আগেও তিন বার ডালিম আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়েছিল। তবে কি কারনে ডালিম আত্মহত্যা করেছে তা স্পষ্ট নয় বলে জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা। এঘটনায় থানায় প্রাথমিকভাবে অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ বরিশাল মর্গে প্রেরণ করা হয়। এর আগে রহস্যজনক আত্মহত্যায় তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী নুশরাত জাহান নোহা, প্রথম বর্ষের ছাত্রী পুতুল বৈরাগীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। থানা অফিসার ইনচার্জ মো. আফজাল হোসেন জানান, চলতি বছরের নয় মাসে উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে ২৮টি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। যার অধিকাংশ প্রাথমিকভবে আত্মহত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছিল। আত্মহত্যা প্রবণ এলাকা হিসেবে বাগধা ইউনিয়নের অবস্থান সবার উপরে। তবে সবগুলো আত্মহত্যার ঘটনা এমন নয়; যেসকল রিপোর্ট পাওয়া গেছে সেগুলোতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এখনো বেশ কয়েকটি ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে না পাওয়ায় কোনটি হত্যা আর কোনটি আত্মহত্যা তা সুরাহা করতে পারছে না পুলিশ।