More

    রুমন হত্যায় প্রকৃত আসামীদের বাদ দেয়ার অভিযোগ

    অবশ্যই পরুন

    ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া ইউনিয়নে রুমন বিশ্বসের হত্যাকারী নিজেই মামলার বাদী হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। হত্যাকান্ড থেকে নিজেকে আড়াল করতে নিহত রুমনের মা ও সৎ ভাইকে বাদ দিয়ে মিঠু বিশ^াস এই মামলার বাদী হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এমন অভিযোগে এনে ঘটনায় প্রকৃত আসামীদের বাদ দিয়ে একটি পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রতিবাদে বরিশালে সংবাদ সম্মেলন ভুক্তভোগী পরিবারের সদ্যরা। সোমবার দুপুর ১২টায় নগরের আগরপুর রোডস্থ বরিশাল প্রেসক্লাব মিলনায়তনে উক্ত সংবাদ সম্মেলন অনুষ্টিত হয়।

    গত ৩ জানুয়ারী সন্ধ্যায় নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া ইউনিয়নে রুমন বিশ্বাসকে হত্যা করা হয়। এই ঘটনায় গত ৪ জানুয়ারি ২২জনকে আসামী করে এ্কটি হত্যা মামলা দায়ের করে রুমনের চাচাতো ভাই মিঠু বিশ্বাস।

    সংবাদ সম্মেলনে রুমন হত্যাকান্ডের ঘটনা পরিকল্পিত দাবি করেন মামলার প্রধান আসামীর বোন মারুফা আক্তার পপি।

    লিখিত বক্তব্যে মারুফা আক্তার পপি বলেন, গত ৩ জানুয়ারী নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া ইউনিয়নে রুমন বিশ্বাসকে জবাই করে হত্যা করেছে ওই এলাকার নুরুল হক হাওলাদারের ছেলে বাপ্পি। এই কথাটা গনমাধ্যমের সামনে প্রকাশ্যে বলেছে নিহত রুমনের মা। তবে রুমন হত্যা মামলায় বাপ্পিকে ৪ নম্বর আসামী করা হয়েছে।

    তিনি আরো বলেন, রুমনকে যারা পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করেছে তার মধ্যে মিঠু বিশ্বাস প্রধান পরিকলল্পনাকারী। মিঠু বিশ্বাস ও আজিজ বিশ্বাস মিলে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী রুমনকে হত্যা করেছে।

    সংবাদ সম্মেলনের এক লিখিত বক্তব্যে মারুফা আক্তার পপি বলেণ, রুমন হত্যা মামলায় আমার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা আইয়ুব আলী হাওলাদার, আমার ভাই আল মামুন এবং আমার ছেলে জিহাদকে ফাঁসাতে মামলার আসামী করা হয়েছে। তারা কেউই এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত না। পূর্ব শত্রুতা ও জমি বিক্রির টাকার ভাগ না পেয়ে এলাকার চিহিৃত ভুমিদস্যু ও জমির দালাল মিঠু বিশ্বাস ও আজিজ বিশ্বাস আমার ভাইকে এই মামলায় প্রধান আসামী করেছে।

    তিনি আরো বলেন, রুমন হত্যা মামলায় তার মা মামলার বাদী না হয়ে হত্যাকারী মিঠু বিশ্বাস নিজেকে আড়াল করতে মামলার বাদী হয়েছে। পাশাপাশি ওই মামলায় রুমনের মাকে ৪ নম্বর স্বাক্ষি করা হয়েছে। এছাড়াও প্রকাশ্যে যে হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটলো সেই ঘটনায় মিঠু বিশ্বাসের পরিবারের তিনজনকে স্বাক্ষি রাখা হয়েছে। এলাকার অন্যকোন লোক এই মামলায় স্বাক্ষি নেই।

    তিনি আরো বলেণ, হত্যাকান্ডের পরদিন নলছিটি থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসলে পুলিশের সামনে মিঠু বিশ্বাসের আপন ভাই আজিজ বিশ্বাসের স্ত্রী নুরুন্নাহার বেগম বলেছে বাপ্পি রুমনকে জবাই করে হত্যা করেছে। এমন বক্তব্য গনমাধ্যমেও প্রকাশ করা হয়েছে।

    লিখিত বক্তব্যে পপি আরো বলেন, রুমন বিশ্বাসের বাবা সত্তার বিশ্বাস এর দুই বিয়ে। আব্দুর রহিম প্রথম ঘরের আর রুমন দ্বিতীয় ঘরের ছেলে। এক ভাই মারা গেলে বাবার পুরো সম্পত্তি একজনের নামে থাকবে তাই পরিকল্পনা করে মিঠু বিশ্বাস, আজিজ বিশ্বাস ও আব্দুর রহিম এই হত্যকান্ড ঘটিয়েছে। অথচ যারা এই হত্যার সাথে জড়িত তারাই আবার মামলার বাদী ও স্বাক্ষি।

    এসময় তিনি আরো বলেন, মামলা দায়েরের পর তার বাবা , ভাই , ছেলে পলাতক রয়েছে। প্রাণের ভয়ে নিজেরাও বাড়িতে যেতে পারছেননা। রুমন হত্যার বিচার দাবি করেন তিনি বলেন, আমরাও এই হত্যাকান্ডের বিচার চাই। তবে যারা অপরাধের সাথে যুক্তনা তাদের বাদ দিয়ে প্রকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হোক। এজন্য তিনি প্রশাসনের উধর্:ত্বন কর্মকর্তাদের কাছে মামলাটি সুষ্ঠ তদন্তের দাবি জানান।

    সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, আল মামুনের বোন আফরোজা খানম লাকি, দপদপিয়া ইউনিয়নের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার জেসমিন নাহার সিরিন, আল মামুনের স্ত্রী জুথি প্রমুখ

    সম্পর্কিত সংবাদ

    সর্বশেষ সংবাদ

    বরিশালে প্রসূতি নারীর মৃত্যু: চিকিৎসা অবহেলার অভিযোগ স্বামীর

    বরিশাল নগরীর আরিফ মেমোরিয়াল হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গিয়ে এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। মৃত নারীর নাম তানজিলা আক্তার, তিনি...