অনেকেই ভেবেছিলেন করোনা সংকটের মেঘ বোধহয় কেটেছে। কিন্তু ফের নতুন করে সংক্রমণের হার বেড়েছে। রোজই আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। আর তাই রবিবার রাজ্যগুলিকে আরও সতর্ক হওয়ার বার্তা দিল কেন্দ্র।
#নয়াদিল্লি: ফের বাড়ছে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা। গোটা একটা বছরে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপনে বহু পরিবর্তন এনেছে এই ভাইরাস। তবে ভ্যাকসিন তৈরির পরে কিছুটা স্বস্তি পেয়েছিল মানুষ। অনেকেই ভেবেছিলেন করোনা সংকটের মেঘ বোধহয় কেটেছে। কিন্তু ফের নতুন করে সংক্রমণের হার বেড়েছে। রোজই আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। আর তাই রবিবার রাজ্যগুলিকে আরও সতর্ক হওয়ার বার্তা দিল কেন্দ্র।
আরও বেশি নজরদারি এবং করোনার RT-PCR পরীক্ষা যাতে আরও বেশি করা হয়, রাজ্যগুলিকে সেই নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। বিগত কয়েকদিনে শুধুই বেড়েছে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা। রবিবার সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১,৪৫,৬৩৪-এ। জানা যাচ্ছে দেশের পাঁচটি রাজ্যে ও একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিগত কয়েকদিনে ফের করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হচ্ছে অ্যাক্টিভ কেসের ৭৪ শতাংশ কেরল ও মহারাষ্ট্রে।
এছাড়াও ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ, পঞ্জাব এবং জম্মু কাশ্মীরেও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। যে রাজ্যগুলিতে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, তাদের কয়েকটি বিষয়ে নজর দেওয়ার কথা বলেছে কেন্দ্র। সেগুলি হল-
১) করোনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়াতে হবে। বিশেষ করে RT-PCR পরীক্ষায় জোর দিতে হবে।
২) RT-PCR পরীক্ষার পরে অবশ্যই র্যাপিড টেস্ট করাতে হবে নেগেটিভ আসার পরে।
৩) কিছু নির্দিষ্ট জেলায় কড়া করোনা নিরাপত্তা বজায় রাখতে হবে। বিশেষ ভাবে নজরদারি চালাতে হবে। নতুন স্ট্রেইনের প্রভাব কেমন সেদিকেও নজর রাখতে হবে।
প্রসঙ্গত, মহারাষ্ট্রের অমরাবতী ও আকোলায় এই নতুন স্ট্রেইনের উপস্থিতি মিলেছে। এই এই নতুন স্ট্রেন নাকি আরও বেশি ভয়ঙ্কর, আরও বেশি সংক্রামক। জানাচ্ছেন এইমস-এর প্রধান রণদীপ গুলেরিয়া।সরকারের তৈরি করা করোনা স্বাস্থ্যবিধি শিথীল হওয়ায় এবং মানুষের মধ্যে মাস্ক ব্যবহার করার প্রবণতা কমে যাওয়ার পরেই এক ধাক্কায় আবার বেড়েছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। তাই ফের করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে সরকার পক্ষ থেকে রাজ্যগুলিকে স্বাস্থ্যবিধি আরও কড়া করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।