More

    হাসপাতালের মেঝেও ভরে গেছে ডায়রিয়ার রোগীতে

    অবশ্যই পরুন

    হঠাৎ করেই বরগুনায় শুরু হয়েছে ডায়রিয়ার প্রকোপ। গত ২৪ ঘণ্টায় অন্তত অর্ধ শতাধিক রোগী বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিছানাপত্র না থাকায় ওয়ার্ড ও করিডোরের মেঝেতে ঠাঁই নিতে বাধ্য হয়েছেন অনেকে। চিকিৎসক সংকটে রোগীদের সামলাতে রীতিমত হিমশিম খাচ্ছে স্বাস্থ্য বিভাগ।বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের তথ্য মতে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৬২জন রোগী পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়ে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়া বিভাগে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে অনেকেই নারী ও শিশু। মার্চের শুরু থেকে ডায়রিয়ার প্রকোপ বাড়তে থাকে। প্রথম সপ্তাহে গড়ে ২০ জনের মতো রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে ভর্তি হয়। গত তিনদিনে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে গড়ে ৪০ জনে পৌঁছায় এবং সবশেষ ২৪ ঘন্টায় তা আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পায়। এ পর্যন্ত ২৩০ জন রোগী ডায়রিয়ার চিকিৎসা নিয়েছেন এবং বর্তমানে ১৯৮ জন ভর্তি রয়েছেন।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়া বিভাগে মাত্র আটটি বেড রয়েছে। প্রয়োজনীয় সংখ্যক বেড না থাকায় রোগীরা হাসপাতালে মেঝেতে ও করিডোরে বিছানা পেতেছেন। এতে করে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে রোগীদের। শনিবার দুপুরে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে সরেজমিনে দেখা যায়, হাসপাতালের নিচতলার মেঝেতে অনেকেই বিছানা পেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের মধ্যে শিশু, নারী ও বৃদ্ধ বেশি। মেঝের নোংরা ও অপরচ্ছিন্ন পরিবেশে গাদাগাদি করে থাকতে হচ্ছে তাদের। এতে রোগীরা চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন।

    চিকিৎসাধীন কয়েকজন রোগী জানান, বেড না থাকায় মেঝের নোংরা পরিবেশে তাদের থাকতে হচ্ছে। এতে করে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।মনিরুজ্জামান নামের এক ব্যক্তি দুপুরে জানান, তিনি গতরাতে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। কিন্তু, দুপুর পর্যন্ত কোনও চিকিৎসকের দেখা পাননি।  শুধুমাত্র সেবিকারা এসে রাতে স্যালাইন দিয়েছেন।বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক সোহরাব উদ্দীন বলেন, এমনিতেই হাসপাতালে প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিকিৎসক নেই, নেই বেড। এ অবস্থায় হঠাৎ বিপুল সংখ্যক রোগী ভর্তি হওয়ায় আমরা তাদের সামলাতে হিমশিম খাচ্ছি। এভাবে রোগী বাড়তে থাকলে দু একদিনেই প্রয়োজনীয় ওষুধপথ্যের সংকট দেখা দেবে। আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি রোগীদের সু-চিকিৎসা নিশ্চিত করতে।বরগুনার সিভিল সার্জন ডা. মারিয়া হাসান বলেন, গরমের মৌসুম শুরু হওয়ায় ডায়রিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। উপকূলের প্রত্যন্ত এলাকার বাসিন্দারা অতটা স্বাস্থ্য সচেতন নয়, অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে থাকার কারণে রোগ জীবাণুর আক্রমণের শিকার হয়ে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের সেবা নিশ্চিতের লক্ষ্যে আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করছি। এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র মজুত আছে। আমরা আশা করছি সেবাগ্রহীতাদের সর্বোচ্চ সেবা প্রদান করতে পারবো।

    সম্পর্কিত সংবাদ

    সর্বশেষ সংবাদ

    বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১০

    বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুই বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১০ জন শিক্ষার্থী আহত...