পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার মো. নজরুল ইসলাম মৃধা আলী তৃতীয়বার ইউপি সদস্য পদে নির্বাচনে অংশ নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তার সে আশা পূরণ হলো না। নির্বাচনী ফরম আনতে গিয়ে তিনি জানতে পারলেন ভোটার তালিকায় তিনি মৃত। বৃহস্পতিবার মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করতে গিয়ে তিনি এ বিষয়টি জানতে পারেন।
মো. নজরুল ইসলাম মৃধা অভিযোগ করে বলেন, তাকে নির্বাচনে অংশ নেয়া থেকে বিরত রাখতেই এমন কাজ করা হয়েছে।
মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করার জন্য নিকস অনুকূলে ১০৬০১০০০১২৬৩১ কোডে ৪৬ চালানের মাধ্যমে পটুয়াখালী জেলার দশমিনা উপজেলায় সোনালী ব্যাংকে টাকা জমা দিয়ে নির্বাচনী ফরম নিতে যান।
এ সময় উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও ইউপি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. জিয়াউর রহমান নজরুলকে জানান, ভোটার তালিকায় তিনি মৃত তাই তাকে সাধারণ সদস্য পদে নির্বাচনী ফরম দেয়া হবে না।
মো. নজরুল ইসলাম জানান, বিগত দু’টি নির্বাচনে ইউপি সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দীতা করে অল্প ভোটে পরাজিত হয়েছি, এবারের নির্বাচনে আমি শতভাগ বিজয়ী হতে পারতাম। এ কারণে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমাকে ভোটার তালিকায় মৃত করে রাখা হয়েছে।
২০১৫ সালে হালনাগাদ ভোটার তালিকা জরিপকারী পশ্চিম খলিশাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ফিরোজ আলোম জানান, এ বিষয়ে আমি কিছু জানিনা।
আরেক জরিপকারী রমানাথসেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. সোলায়মান জানান, আমি হালনাগাদ ভোটার তালিকায় মো. নজরুল ইসলামকে মৃত দেখাইনি এটা কিভাবে হলো আমি জানি না।
ভোটার তালিকা হালনাগাদের দায়িত্বে থাকা সনাক্তকারী স্থানীয় ইউপি সদস্য আলেপ খান জানান, আমি হালনাগাদ ভোটার তালিকার বিষয়ে কিছুই জানিনা। আমি ওই কাগজে কোনো স্বাক্ষর করিনি।
উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. জিয়াউর রহমান জানান, মো. নজরুল ইসলাম সদস্য পদের ফরম নিতে এসেছিলেন। তিনি ভোটার তালিকায় মৃত থাকায় তাকে ফরম দেয়া হয়নি। তিনি জানান, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।