আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়ে বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলায় এক চেয়ারম্যান প্রার্থীর বাড়িতে ও এক সদস্য (মেম্বর) প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে দুই নারীসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
সোমবার (২২ মার্চ) দুপুরে বাকেরগঞ্জ উপজেলার কলসকাঠী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনয়নবঞ্চিত স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. ওয়াদুদ খন্দকারের বাড়িতে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
ওয়াদুদ খন্দকারের অভিযোগ, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান ওয়াহিদ মুন্নার নেতৃত্ব তার অর্ধশতাধিক অনুসারী ও সমর্থক সোমবার দুপুর ১টার দিকে তার বাড়িতে হামলা চালায়।
তিনি বলেন, নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা চালাতে তিনি ঢাকায় অবস্থানরত পরিবারের সদস্যদের নিয়ে রোববার রাতে বাড়িতে আসেন। এ খবর পেয়ে তার বাড়িতে হামলা চালানো হয়। মুন্না তালুকদারের নেতৃত্বে হাবিব আকন ওরফে গুডু হাবিব, মেম্বার প্রার্থী মাসুদ সিকদার, মজিদ খান, শহিদ, জাকির হাওলাদার ওরফে জাকির, মনির শরীফ, জব্বার হাওলাদার ওরফে, বাইজিদ হাওলাদারসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি লাঠিসোঠা ও লোহার রড নিয়ে তার বাড়িতে হামলা করেন। এসময় হামলাকারীরা তার বাড়ির আসবাবপত্র ভাঙচুর করেন। ভাঙচুর করা হয় বাড়িতে লাগানো কয়েকটি সিসি ক্যামেরা। বাধা দিলে তার চাচাতো ভাই হেলাল খন্দকারকে (৫০) ধাওয়া করা হয়। আত্মরক্ষার্থে হেলাল বাড়ি-সংলগ্ন মসজিদে আশ্রয় নিলে সেখানেও হামলা করে তাকে মারধর করা হয়। মসজিদের জানালার কাচও ভাঙচুর করা হয়।
হামলায় তার আরেক চাচাত ভাই মিলন খন্দকার (৩৮), চাচাতো ভাবি মরিয়ম আক্তার হাওয়া (৪০) ও চাচি বেবী বেগম (৫০) আহত হয়েছেন বলে জানান স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ওয়াদুদ খন্দকার।
এ বিষয়ে বক্তব্য নিতে নৌকার প্রার্থী মুন্না তালুকদারের মোবাইল ফোনে কল করা হলে তিনি হামলার বিষয়ে কোনো কথা বলতে চাননি।
এদিকে একই ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বর) প্রার্থী আবু জাফর আকনের সমর্থকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।
আবু জাফর আকন অভিযোগ করে জানান, রোববার বিকেলে তার প্রতিদ্বন্দ্বী সদস্য (মেম্বর) প্রার্থী জাফর হাওলাদারে উস্কানিতে তার সমর্থকরা এ হামলা চালিয়েছেন। এতে তার কয়েকজন সমর্থক আহত হয়েছেন।
তবে জাফর হাওলাদার এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘জাফর আকনের সমর্থকরা তার সমর্থকদের ইঙ্গিত করে নানা কটূকথা বলছিলেন। এসময় তার কয়েকজন সমর্থক প্রতিবাদ করলে হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। তবে হামলা চালানোর অভিযোগ ভিত্তিহীন।’
বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলাউদ্দিন বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী ওয়াদুদ খন্দকারের বাড়িতে হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আর জাফর আকনের সমর্থকদের ওপর হামলার কোনো খবর তারা পাননি। ওই দুটি ঘটনায় কোনো পক্ষই থানায় লিখিত অভিযোগ দেননি। লিখিত অভিযোগ দেয়া হলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
