More

    গৌরনদীতে অভাবে-অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন মৃৎশিল্পীরা

    অবশ্যই পরুন

    বাঙালি জীবনের হাজার বছরের ঐতিহ্য বহনকারী মাটির তৈরি সামগ্রীর চাহিদা কমতে থাকায় উপমহাদেশের অন্যতম প্রাচীন শিল্পটি এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে।

    আধুনিক জিনিসপত্রের ভিড়, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা না থাকা এবং মাটির দাম বৃদ্ধিসহ নানা সংকটে এ শিল্প হারিয়ে যেতে বসেছে বলে জানান কুমারেরা। মৃৎশিল্প বাঙালির শত বছরের পুরনো ঐতিহ্য। কিন্তু কালের বিবর্তনে ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে এই শিল্পের প্রসার। অনেকে এ পেশায় থাকলেও মাটির তৈরি সামগ্রীর চাহিদা না থাকায় অভাব-অনটনে সংসার চালাতে পারছেন না তারা। একবেলা আধাবেলা খেয়ে দিনানিপাত করছেন অনেক মৃৎশিল্পী। এক সময়ের কর্মব্যস্ত কুমারপাড়ায় এখন শুনসান নিরবতা। গৌরনদী উপজেলার টরকী বন্দর এলাকার পাল পারার অসংখ্য পরিবার এ পেশার সঙ্গে জড়িয়ে থাকলেও কিছু দিনের ব্যবধানে প্রায় ৫০টি পরিবারেরও বেশি পরিবার এ পেশা ছেড়ে ভিন্ন পেশায় যুক্ত হয়েছে। বরিশাল জেলার মাটি বেলে ও দো’আঁশ হওয়ায় আগৈলঝাড়া ও উজিরপুর থেকে মাটি সংগ্রহ করে এসব সামগ্রী তৈরির কাজে ব্যস্ত থাকতেন মৃৎশিল্পীরা।

    টরকী বন্দরের পাল পারার মৃৎশিল্পী বিকাশ পাল বলেন, যুগ যুগ ধরে বংশ পরম্পরায় আমরা মাটির জিনিস তৈরি করে আসছি। এ পেশার সঙ্গে আমরা জড়িত থাকলেও আমাদের উন্নয়নে বা আর্থিক সহায়তায় সরকার কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। সরকারি ও বিভিন্ন এনজিও বা সমিতি থেকে সহযোগিতা পেলে হয়তো বাপ-দাদার আমলের স্মৃতিকে ধরে রাখা সম্ভব হতো।

    মৃৎশিল্পী রগু পাল বলেন, এ শিল্পের জন্য আড়াই শতক (১ কাঠা) মাটি কিনতে লাগে ৫০ হাজার টাকা। তার পরেও এই মাটি অনেকেই দিতে চায় না।

    সম্পর্কিত সংবাদ

    সর্বশেষ সংবাদ

    ২ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ০ রান বাংলাদেশের

    যতটা সম্ভব বাজেভাবে ম্যাচ শুরু করা সম্ভব, করেছে বাংলাদেশ। টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম দুই ওভারে কোনো রান...