বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার জিড়াইল গ্রামে জমির বিরোধের জের ধরে শাশুড়ি ও পুত্রবধূকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে সন্ত্রাসী মিলন বিশ্বাস ও তার বাহিনী। এ সময় নগদ অর্থ ঘর ভাঙচুর ও মালামাল লুটপাট চালায় তারা।
মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় বিশ্বাস বাড়িতে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, ওই গ্রামের বাসিন্দা মৃত আইয়ূব আলী বিশ্বাসের স্ত্রী সেতারা বেগম ও পুত্রবধূ জোসনা বেগম। বর্তমানে তারা শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আহত সেতারার ছেলে লিটন বিশ্বাস জানান, তার সাথে একই গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় সন্ত্রাসী মিলন বিশ্বাসের সাথে দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এ ঘটনায় বছর খানেক পূর্বে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মাধ্যমে সালিশ বৈঠকের রোয়েদাদ নামায় উভয় পক্ষের স্বাক্ষরের মাধ্যমে মীমাংসা হয়। এবং উভয় পক্ষের জমির উপর সীমানা পিলার দিয়ে দেয়। এ ঘটনায় মিলন বাদী হয়ে লিটন ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে রোয়েদাদ নামা চুরির একটি মামলা দায়ের করে। সে মামলায় লিটন রায় পায়। তারই ধারাবাহিকতায় ঘটনার দিন দুপুরে মিলনের বিশ্বাসের নেতৃত্বে বাহাদুর মলিক, পলাশ মলিক, মনি, মরিয়ম, ঝর্না, রিপা ও রানি সহ অজ্ঞাত আরও ২০/২৫ জনে ওই জমির সীমানা উঠিয়ে ফেলে। এসময় সেতারা বেগম লিটনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে উভয়ের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে মিলন বিশ্বাস অন্যান্যরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে সেতারা কে প্রথমে লাঠিপেটা করে। পরে হত্যার উদ্দেশ্যে রামদা, চাপাতি সহ দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র দিয়ে এলোপাথারি কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এ সময় নগদ অর্থ ঘর ভাঙচুর ও মালামাল লুটপাট করে তারা। তার চিৎকারে পুত্রবধূ জোসনা ঘটনাস্থলে ছুটে গেলে তাকেও পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। পরে তার স্বজনরা ঘটনাস্থল থেকে আহতদের উদ্ধার করে তাৎক্ষণিক বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে আহতের স্বজনরা জানান।