বরিশালের হিজলা উপজেলায় ৭ম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে মরিয়া হয়ে উঠছে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও গ্রাম চকিদার এবং মোড়লরা।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়- উপজেলার ধুলখোলা ইউনিয়নের বসুপট্টি নামক গ্রামের কুদ্দুস হাওলাদারের মেয়ে এ ঘটনার শিকার হয়। গত ৪ তারিখ রবিবার গভীর রাতে একই গ্রামের জামাল হোসেনের পুত্র সাদ্দাম হোসেন কৌশলে স্কুলছাত্রীর ঘরে ঢুকে পড়ে। তখন সাদ্দাম হোসেন তাকে তার ঘরে গিয়ে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। স্কুলছাত্রী ডাক-চিৎকার দিলে ধর্ষক সাদ্দামের নানা এগিয়ে আসে। তখন সাদ্দাম হোসেন পিছনের দরজা ভেঙে পালিয়ে যায়। এ ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। স্কুলছাত্রী তার সম্মানহানীর দায়ে বিচারের জন্য সাদ্দামের ঘরে গিয়ে ওঠে। এ সময় স্থানীয় ইউপি সদস্য তসলিম উদ্দিন ও গ্রাম্য চকিদার আবদুর রহিম মুদি ব্যবসায়ী খোকন খান মীমাংসা করে দেওয়ার কথা বলে মেয়েটিকে ঘর থেকে নিয়ে যায়।
কয়েকদিন অতিবাহিত হলে গ্রাম্য মোড়লদের দ্বারা মেয়েটি কোনো বিচার না পেয়ে আইনের দ্বারস্থ হয়। এ ঘটনাটির বিষয় জানতে চাইলে স্কুলছাত্রী জানায়, আমাকে সাদ্দাম গত ২ বছর যাবৎ প্রেমের প্রলোভন দেখিয়ে আসছে। আমি তাতে সাড়া দেইনি। গত ৩ মাস পূর্বে আমি বোনের বাসায় ঢাকায় বেড়াতে যাই। সাদ্দাম আমার বোনের বাসার ঠিকানা পেয়ে সেখানে যায়। সেখানে গিয়ে আমাকে একা পেয়ে ধর্ষণ করে। আমি প্রতিবাদ করলে সে আমাকে বিবাহ করবে বলে কাউকে জানাতে নিষেধ করে। গত রবিবার গভীর রাতে আমার ঘরে ঢুকে ধর্ষণের জন্য ধস্তাধস্তি করে। তখন আমি ডাক-চিৎকার দিলে সাদ্দামের নানা এগিয়ে আসে। তখন ধর্ষক সাদ্দাম হোসেন পালিয়ে যায়।
ধর্ষক সাদ্দাম হোসেনের মা সামছুনাহার জানান, আমি বিষয়টি জানি। এখানে দোষের কিছু নয়। তারা প্রেম করে মেলামেশা করছে, তাতে কি হয়েছে। স্থানীয়ভাবে এর সমাধান হবে বলে জানান। স্থানীয় মুদি ব্যবসায়ী খোকন জানান, আমরা বিষয়টি সুরহা করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছি। আমাদের কিছু করার নেই।
হিজলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অসিম কুমার সিকদার জানান, যেহেতু ঢাকায় থাকা অবস্থায় ধর্ষণ হয়েছে এ বিষয়টি আমার নয়। গত বরিবার মেয়েটিকে ধর্ষণের চেষ্টা হয়েছে। এ ঘটনায় আমি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’