More

    বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ৬ ডেঙ্গু রোগী ভর্তি

    অবশ্যই পরুন

    বরিশাল শহরে ডেঙ্গু রোগীদের আগমনের খবর পাওয়া গেছে। অর্থাৎ ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে ৬ জন বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবামেক) হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এরা হলেন- শেবামেক হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স নাসিমা বেগমের মেয়ে তন্নী আক্তার (২৫), নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া গ্রামের মোকসেদ আলীর ছেলে সাব্বির হোসেন  (২১),সরুপকাঠি উপজেলার নেছারাবাদ গ্রামের মোঃ আলী (১৯), মুলাদী উপজেলার বালিয়াতলি গ্রামের আঃ রহিম হাওলাদারের ছেলে আসাদুজ্জামান (২৪),বানারীপাড়া উপজেলার ধারালিয়া গ্রামের সরদার আলীর ছেলে আব্দুল হাই(৩৭) ও রাজাপুর উপজেলার সন্দীপ মিস্তিরির ছেলে সুব্রত মিস্তিরি।

    জানা গেছে, ছলতি বছরের ২০ জুলাই সর্বপ্রথম সাদিয়া আফরিন তন্নী জ্বর নিয়ে শেবামেক হাসপাতালের মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি  হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তন্নী ডেঙ্গু রোগে  আক্রান্ত হয়েছে বলে নিশ্চিত হয় ডাক্তাররা। এদিকে জানা গেছে, তন্নী ঢাকা শহরের মিরপুরে থাকতেন। ১৭ জুলাই তন্নী তার পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে মিরপুর থেকে বরিশালের বাংলা বাজারে আসেন। ১৭ জুলাই দিবাগত রাতেই তন্নী জ্বরে আক্রান্ত হয়।

    কথা হলে সাদিয়া আফরিন তন্নী বলেন, ‘আমি ঢাকা শহরের মিরপুরে থাকি। ১৭ জুলাই আমি আমার  পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে মিরপুর থেকে বরিশালে আসি। ১৭ জুলাই দিবাগত রাতেই আমি জ্বরে আক্রান্ত হই। শেবামেক হাসপাতালের মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে  জনতে পারি আমি ডেঙ্গু রোগে  আক্রান্ত হয়েছি। তবে এখন আমি ভালো আছি। ‘

    এদিকে ২২ জুলাই দপদপিয়া গ্রামের সাব্বির হোসেন, ২৪ জুলাই নেছারাবাদ গ্রামের মোঃ আলী  ও ২৫ জুলাই বালিয়াতলি গ্রামের আসাদুজ্জামান ডেঙ্গু রোগে  আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। চিকিৎসা শেষে  সুস্থ হয়ে ইতিমধ্যে  তারা নিজেদের বাড়ি ফিরে গেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন এখানকার ডাক্তাররা।

    তবে ২৮ জুলাই আব্দুল হাই ও একই দিন সুব্রত মিস্ত্রি  ডেঙ্গু রোগে ভর্তি হলেও তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদের মধ্যে আব্দুল হাই কৃষি কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত। আব্দুল হাই জানান, ‘গ্রামের বাড়িতে বসে আমার  হঠাৎ করেই জ্বর হয়।  শরীরে ব্যথা ও জ্বর কিছুতেই থামছিল না। পরে পরীক্ষায় আমার ডেঙ্গু রোগ সনাক্ত হয়।’

    সুব্রত মিস্তিরি পিরোজপুরের সোহরাওয়ার্দী ডিগ্রি কলেজে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। ১০/১২ দিন আগে সুব্রত জ্বরে আক্রান্ত হলে ভান্ডারিয়া উপজেলার এক ডাক্তারের  শরণাপন্ন হয়। পরে ডাক্তারের পরামর্শে সুব্রত শেবামেক হাসপাতালে ভর্তি হন।

    সাক্ষাতে কথা হলে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুব্রত মিস্তিরি বলেন, ‘১০/১২ দিন আগে আমি জ্বরে আক্রান্ত হলে ভান্ডারিয়া উপজেলার এক ডাক্তারের  শরণাপন্ন হই। পরে ওই ডাক্তারের পরামর্শে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসি। এখন আমি সুস্থ আছি। ‘ তবে যদ্দুর জানা গেছে, এখন পর্যন্ত বরিশাল শহরে কিংবা বরিশাল সদর উপজেলার কোথাও ডেঙ্গু রোগীর সন্ধান মিলেনি।

    অন্যদিকে শেবামেক হাসপাতালের পরিচালক এইচ.এম.সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগে এখন পর্যন্ত কেউ মারা যায়নি। অনেকেই সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন।

    সম্পর্কিত সংবাদ

    সর্বশেষ সংবাদ

    বরিশালে আওয়ামী লীগের মিছিলের চেষ্টা, আটক ৪

    বরিশাল নগরীর কাশিপুরে মশাল নিয়ে মিছিলের চেষ্টাকালে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের চারজনকে আটক করে পুলিশে দেওয়া হয়েছে। রোববার সন্ধ্যায়...