More

    আড়িয়াল নদে লাশ: প্রবাসী হত্যার ঘাতক পলাতক, বেয়াই গ্রেফতার

    অবশ্যই পরুন

    নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা সিঙ্গাপুর প্রবাসী নুরুল আমিন হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছেন নিহতের চাচাতো ভাইয়ের শ্যালক তানিম মিয়া।

    শুক্রবার সৌদি আরবে পালানোর সময় গ্রেপ্তার হন তানিম মিয়া। পলাতক অপর আসামি হলো নুরুলের চাচাতো ভাই সিঙ্গাপুর প্রবাসী কামরুল ইসলাম। গ্রেপ্তার ২০ বছর বয়সী তানিম বরিশালের মুলাদী উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের বাসিন্দা।

    মুলাদী উপজেলার নাজিরপুর নৌ পুলিশের ইনচার্জ পরিদর্শক প্রদীপ কুমার মিত্র জানান, শনিবার সন্ধ্যায় হত্যার কথা স্বীকার করে তানিম বরিশাল জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। বিচারক নুরুল আমিন জবানবন্দি গ্রহণ করেছেন।

    তিনি আরও জানান, হত্যায় ব্যবহৃত ট্রলারও উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার তানিম ও তার ভগ্নিপতি বর্তমানে সিঙ্গাপুর প্রবাসী কামরুল ইসলাম এই হত্যাকান্ড করেছে।

    পরিদর্শক প্রদীপ কুমার মিত্র জানান, হত্যার শিকার নুরুল আমিন ও কামরুল ইসলাম চাচাতো ভাই। এ দুজন সিঙ্গাপুরে থাকতো। সেখান থেকে নুরুল দেশে ফিরে আসে। কামরুল গ্রুপ ভিসায় সিঙ্গাপুরে লোক নেয়ার প্রলোভন দিয়ে নুরুল আমিনের কাছ থেকে ২৫ লাখ টাকা নেয়। কিন্তু কাউকে সিঙ্গাপুর নেয়নি। এমনকি টাকাও ফেরত দেয়নি। লোকজনের ভয়ে ৭ অক্টোবর গোপনে বাংলাদেশে আসেন কামরুল।

    কামরুল দেশে ফিরে এসে মুলাদী উপজেলার সফিপুর ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামে তার শ্বশুর বাড়িতে আত্মগোপন করে। পাওনা টাকা দেয়ার কথা বলে নুরুলকে মুলাদী উপজেলায় নিয়ে আসে। ১০ অক্টোবর নুরুল, শ্যালক তানিম ও কামরুল ট্রলারে চরে আড়িয়াল খাঁ নদীতে ঘুরতে বের হয়।

    তিনি আরও জানান, ট্রলারে নুরুল মোবাইলে কথা বলতে ছিল। এ সময় পিছন থেকে নাইলনের রশি গলায় পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে কামরুল। পরে হাত-পায়ে ইট বেঁধে নুরুলের লাশ আড়িয়াল খাঁ নদীতে ফেলে দেয়। তাকে হত্যার পর ১৩ অক্টোবর কামরুল সিঙ্গাপুর ফিরে যায়।

    পরিদর্শক প্রদীপ কুমার মিত্র জানান, মুলাদীর নাজিরপুর ইউনিয়নের আড়িয়াল খাঁ নদীর সাহেবের চর এলাকায় মরদেহ ভেসে ওঠার পর উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পরদিন নৌ পুলিশ মুলাদী থানায় মামলা করে। বিভিন্ন থানায় সংবাদ পাঠিয়ে মরদেহের পরিচয় শনাক্ত না হওয়ায় বেওয়ারিশ হিসেবে বরিশালেই নুরুল আমিনকে দাফন করা হয়।

    ১৪ অক্টোবর নারায়ণগ‌ঞ্জের ফতুল্লা থানায় নুরুল আমিনের বোন সোনিয়া আক্তারের জিডির সূত্র ধরে পরিচয় শনাক্ত করা হয়। কামরুলের শ্বশুর খোরশেদ আলম মীরকে আটক করার পর হত্যাকাণ্ডের বিষয়‌টি ওঠে আসে । তিনি আরও জানান, দুই হত্যাকারীর একজন সিঙ্গাপুর ও অপর জন তানিম পালিয়ে ছিল। আত্মগোপনে থেকে সৌদি আরবে যাওয়ার সময় তানিমকে গ্রেপ্তার করা হয়।

    বরিশাল ডট নিউজ/স্ব/খ 

    সম্পর্কিত সংবাদ

    সর্বশেষ সংবাদ

    বরিশালে আবাসিক হোটেল পপুলার থেকে ১৬ নারী-পুরুষ আটক

    বরিশাল নগরীর পোর্ট রোড এলাকার একটি আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে ১৬ নারী-পুরুষকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার রাতে নগর‌ীর পোর্ট...