More

    কলাপাড়া উপকূলে অবাধে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা নিধন

    অবশ্যই পরুন

    পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় কুয়াকাটা সংলগ্ন চরবিজয় (হাইরের চর) সহ সাগরের বিভিন্ন চরাঞ্চল এবং নদীতে সকল প্রজাতির পোনা মাছ নিধনের তান্ডব চলছে। সুতার  মশারি নেটের সাহায্যে দেদার এই নিধন যজ্ঞ চলছে।

    মৎস্য বিভাগ বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে পোনামাছ আটকসহ জেল জরিমানা করছে। কিন্তু দমেনি একটি চিহ্নিত চক্রের মৎস্য পোনা নিধনের তান্ডব। কোটি কোটি পোনা প্রতিদিন নিধণ হওয়ায় সাগর-নদী থেকে মৎস্য সম্পদ হারিয়ে যাওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। পরিবেশ-প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্রসহ মৎস্য সম্পদ রক্ষায় কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার দাবি সচেতন মহলের।

    পর্যটন এলাকায় বেড়াতে আসা পর্যটকরা পর্যন্ত মাছের পোনার নিধনযজ্ঞে উৎকন্ঠা প্রকাশ করেছেন। চরবিজয় অনেকটা অর্ধচন্দ্রাকৃতির থাকায় এখানে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের প্রজননের অভয়াশ্রম হিসেবে পরিচিতি রয়েছে।

    আর এই সুযোগকে পুঁজি করে এক শ্রেণির লোভী জেলেরা সুতার ফাঁসের জাল দিয়ে পুরো শীতের মৌসুম বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা আহরণ করে। এমনকি পোনা মাছ সংগ্রহকালে মারা যাওয়া এক-দেড়-দুই ইঞ্চি সাইজের মাছটি সৈকতের বেলাভূমে ফেলে দেয়। টনকে টন পোনা মাছ প্রতিদিন ধরা হচ্ছে। অতি সম্প্রতি কোস্টগার্ডের অভিযানে আন্ধারমানিক নদী থেকে একটি ট্রলারে থাকা ৫০ মণ পোনা মাছ জব্দ করা হয়। যার মধ্যে অসংখ্য ইলিশের পোনাসহ বিভিন্ন প্রজাতির পোনা মাছ ছিল।

    পর্যটকরা জানান, খুব খারাপ লাগে আমাদের দেশের সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ এভাবে ধ্বংস করে দেয়া হচ্ছে। আবার এসব পোনা মাছ বিভিন্ন বাজারেও পানির দামে বিক্রি করা হয়। করা হয় শুটকি। মাত্র এক-দেড় শ’ টাকা কেজিতে বিক্রি করা হয়। অভিযোগ রয়েছে সরকারি দলের প্রভাবশালী একটি সিন্ডকেট আবার এসব এলাকায় পোনা মাছ নিধনের জন্য চাঁদা আদায় করে আসছে।

    গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ডফিশের ইকোফিশ-২ বাংলাদেশ প্রকল্পের সহযোগী গবেষক সাগরিকা স্মৃতি বলেন, আমরা ওই চরে অনেকবার গিয়ে দেখেছি জেলেরা ভাটার সময়ে জাল পেতে রাখে জোয়ার আসলে মাছ আটকে এবং সেখানে ছোট-বড় সকল সাইজের মাছগুলো মারা পরে। একদম ছোট্ট পোনাগুলোও মারা হয়। তার প্রশ্ন এসব চললে ৬৫ কিংবা ২২ দিনের অবরোধ দিয়ে কী লাভ।

    পেশাদার জেলেরা শুধু কষ্ট করছে। আর ইলিশের পোনাসহ সকল প্রজাতির পোনামাছ সুতার ফাঁসের জাল দিয়ে ধরা হচ্ছে। এই অঞ্চলের সমুদ্র অর্থনীতি সচল রাখতে চরবিজয়সহ গোটা উপকূলে সুতার  ফাঁসের জালের ব্যবহার শতভাগ বন্ধ করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন আমরা কলাপাড়াবাসী সংগঠনের সভাপতি নজরুল ইসলাম।

    তিনি জানান, চরবিজয় এলাকায় সকল ধরনের মাছ শিকার বন্ধ করা দরকার।

    সিনিয়র কলাপাড়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা জানান, তারা কয়েকবার নির্বাহী মাজিস্ট্রেট নিয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছেন। চরবিজয়ে থাকা বাসা ও খুটি অপসারণ করেছেন। চরটি বিচ্ছিন্ন এলাকায় দুরে থাকায় সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা একটু সমস্য হয়।

     বরিশাল ডট নিউজ/ স্ব/খ 

    সম্পর্কিত সংবাদ

    সর্বশেষ সংবাদ

    বরিশালে মাছের দামে আগুন

    বরিশালে কয়েকদিন ধরে সবজি ও মুরগির মাংসের দাম সাধারণের নাগালের মধ্যে রয়েছে। তবে আগের তুলনায় বেড়েছে মাছের দাম। সোমবার...