পটুয়াখালীর দুমকিতে অসচ্ছল ও প্রতিবন্ধী হওয়া সত্বেও ৩০কেজি খাদ্য সহায়তার কার্ড করতে চেয়ারম্যানকে দিতে হয়েছে ৪ হাজার টাকা। বিনামূল্যে পাওয়ার কথা থাকলেও টাকা দিয়েও মেলেনি (ভিডব্লিউবি)-এর বরাদ্দকৃত চাল। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মুরাদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে।
শনিবার (৮ নভেম্বর) ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডে ভিজিএফ কার্ডধারীদের মাঝে চাল বিতরণের সময় হাসি বেগম তার কার্ড নিয়ে উপস্থিত হলেও উপজেলা প্রশাসনের আপত্তিতে তাকে বরাদ্দের চাল দেয়া হয়নি। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মুরাদিয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের হতদরিদ্র নুরুল ইসলামের স্ত্রী প্রতিবন্ধী হাসি বেগমের কাছ থেকে চলতি বছরের মার্চ মাসে ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান ফোরকান ৪ হাজার টাকা নিয়ে একটি ভিডব্লিউবি কার্ড করে দেন।
পরবর্তীতে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে কার্ডটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে এবং উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার দপ্তর থেকে সেটির বিতরণ স্থগিত করা হয়। অভিযোগ করে হাসি বেগম বলেন, পারভীন নামের এক নারী চেয়ারম্যানের মাধ্যমে টাকা নিয়ে কার্ডটি করে দিয়েছিল, কিন্তু চাল তুলতে গেলে তাকে বঞ্চিত করা হয়। এ বিষয়ে অভিযোগ জানাতে রোববার (৯ নভেম্বর) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার দপ্তরে গেলেও তারা তখন উপস্থিত না থাকায় অভিযোগ জানাতে পারেননি।
তবে উপস্থিত কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মীদের বিষয়টি জানান। অভিযোগ অস্বীকার করে প্যানেল চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান ফোরকান বলেন, পরিবারটি অতি দরিদ্র ও প্রতিবন্ধি হওয়ায় মানবিক কারণে কার্ডটি দেয়া হয়েছে। টাকা নেয়ার অভিযোগ মিথ্যা। স্থানীয়রা জানান, মুরাদিয়া ইউনিয়নে ভিডব্লিউবি কার্ড বিতরণে অনিয়ম ও আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে।
হাসি বেগমের ঘটনায় বিষয়টি আবার আলোচনায় এসেছে। তারা প্রশাসনের তদন্তের দাবি করেছেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুজর মো. ইজাজুল হক সাংবাদিকদের বলেন, বিষয়টি আমরা তদন্ত করবো, কোন ধরনের অনিয়ম হলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
