কানাডার টরন্টোতে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় তিন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও একজন। তিনিও একজন বাংলাদেশী ছাত্র। সোমবার স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ১১টায় ডানবাসের পূর্ব সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। খবর সিবিসি নিউজের।
নিহতরা হলেন- শাহরিয়ার খান, অ্যাঞ্জেলা বারোই ও আরিয়ান দীপ্ত। আহত ছাত্রের নাম নীবির কুমার দে, সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
কানাডা প্রবাসী সাংবাদিক শওগাত আলি সাগর তার ভেরিভাইড ফেসবুক থেকে কুমার বিশ্বজিতের ছেলে নিবীর কুমার দে আহত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেন।
অন্টারিও প্রাদেশিক পুলিশ এক টুইট বার্তায় নিশ্চিত করেছে যে নিহতরা সবাই বাংলাদেশি নাগরিক। তারা সবাই উচ্চশিক্ষার জন্য কানাডায় গেছেন। তারা অন্টারিওর রাজধানী টরন্টোতে থাকতেন। পুলিশ আরও জানায়, দুর্ঘটনার সময় গাড়িতে চারজন যাত্রী ছিলেন। তাদের মধ্যে তিনজন নিহত হলেও একজন বেঁচে আছেন।
পুলিশ আরও জানিয়েছে যে দুর্ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থলেই একজন ২০ বছর বয়সী পুরুষ এবং এক যুবতী নিহত হন। এছাড়া আহত দুজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে একজনের মৃত্যু হয়। আরও একজন গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। হাসপাতালে যিনি মারা গিয়েছিলেন তার বয়স ছিল মাত্র ১৭ বছর। আর এখন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন ২১ বছর বয়সী ওই গাড়ির চালক।
জানা গেছে যে টরন্টো পুলিশকে রাত ১১ঃ৩০ টায় অবহিত করা হয়েছিল। স্থানীয় সময়. সেখানে গিয়ে তারা দেখতে পান একটি গাড়ি উল্টে আগুন ধরে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, গাড়িটি কিছু একটা ধাক্কা খেয়ে বেশ কয়েকবার উল্টে গেছে। তারপর আগুন ধরে যায়।
টরন্টো ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রথমে গাড়ির আগুন নেভায়। এরপর ভেতরে আটকে পড়াদের উদ্ধার করা হয়। পুলিশ মো. নিহত ও আহতদের পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে।
এদিকে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে টরন্টো পুলিশ। এ ঘটনায় কানাডার টরন্টোর স্থানীয় বাংলাদেশি কমিউনিটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।