ভোলার লালমোহন উপজেলায় আনুষ্ঠানিকভাবে হলুদে রং করা হয়েছে ৭ বছরের এক ছেলে ও ৫ বছরের এক মেয়েকে। দুই শিশুর হলুদের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে তা নিয়ে নানা সমালোচনা হয়।
ভিডিওটিতে একজন পুরুষ কন্ঠস্বর বলতে শোনা যায় যে, এরা দুজন কাজিন। পরিবারের মতামতের ভিত্তিতে তাদের বিয়ের প্রক্রিয়া চলছে। তবে ২০বছর বয়সে না পৌঁছানো পর্যন্ত তাদের দুজনের বিচ্ছেদ থাকবে। ২০ বছর বয়সের পর তারা একসঙ্গে বিয়ে করবে।
গত শুক্রবার বিকেলে লালমোহন উপজেলার কলমা ইউনিয়নের বাকলাই দোকান সংলগ্ন বয়াতি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার দুই দিন পর রোববার দুপুর দেড়টার দিকে দুই শিশু হলুদের একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি সামনে আসে।
তবে এই দুই শিশুর পরিবারের দাবি, মূলত সাত বছরের শিশু রাফসানের আকিকা উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে পরিবারের সদস্যরা দুষ্টুমি করে মুখে হলুদ ছড়িয়ে দেয়। রাফসানের চাচাতো ভাই কোহিনুর মারিয়াকেও হলুদ দেওয়া হয়। কেউ ভিডিও বানিয়ে বিয়ে বলে প্রচার করেছে।
ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে আরও দেখা গেছে, দুই শিশুর গায়ে হলুদও রয়েছে যা একটি বিয়ের জন্য প্রয়োজনীয়। সেখানে দুই শিশুর বাবা-মা ও আত্মীয়-স্বজন উপস্থিত রয়েছেন। তারা সঙ্গীত বাজানো এবং বন্যভাবে উল্লাস.
৭ বছরের ছেলে। রাফসান ও ৫ বছরের মেয়ে কোহিনুর মারিয়া নামের ওই দুই শিশু বয়াতীর রাসেল ও শিপন বয়াতীর ছেলে-মেয়ে। তারা কাজিন।
ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর বাড়িতে গিয়ে ছেলে-মেয়ের বাবা-মাকে পাওয়া যায়নি। তবে ছেলের চাচা পিকু বয়াতি জানান, গত শুক্রবার তার ভাগ্নে রাফসানের আকিকা অনুষ্ঠান হয়। সে উপলক্ষে হলুদ রঙের আয়োজন করা হয়। যেখানে ছোট ভাগ্নিকেও রাখা হয়েছে মজার ভঙ্গিতে। কেউ হলুদ অনুষ্ঠানের ভিডিও ধারণ করে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন। সেখানে বলা হয়, তার ভাগ্নে ও ভাগ্নির বিয়ের পোশাকে গায়ে হলুদ চলছে। মূলত এটি ছিল আকিকা অনুষ্ঠান।
এ বিষয়ে লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অনামিকা নজরুল সাংবাদিকদের বলেন, এ ধরনের কোনো ভিডিও বা ঘটনা তার নজরে আসেনি। জানার চেষ্টা করছি।
লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহাবুবুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি দল পাঠানো হয়েছে। তারা ফিরলে আসল ঘটনা জানা যাবে।