More

    হঠাৎ তালা পড়লো বিলাসবহুল ১৫ কোচ কাউন্টারে

    অবশ্যই পরুন

    খান মনিরুজ্জামান: বরিশালে বিলাস বহুল ১৫টি বাস কাউন্টারে তালা দেয়া হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় এসব কাউন্টারে তালা দেয়া হয়। বরিশাল জেলা বাস মালিক সমিতি ও পরিবহন শ্রমিক নেতৃবৃন্দ এগুলোতে তালা মেরে দেন। এসব টিকেট বুকিং কাউন্টার বরিশাল কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকার বরিশাল-ঢাকা সড়কের পাশে অবস্থিত। তালা মেরে দেয়া পরিবহন সংশ্লিষ্ট নেতৃবৃন্দ জানান তারা সিটি করপোরেশনের নির্দেশে একাজটি করেছেন। এতে যাত্রীরা পড়েছেন মহা ভোগান্তিতে।

    যেসকল কাউন্টার বন্ধ করা হয়েছে সেগুলো হলো -গ্রীনলাইন, ইউনিক, এনা, শ্যামলী, সোহাগ, টাইম ট্রাভেলস, ইউরো কোচ, সাকুরা, হানিফ, মিজান, বিএম ও ইলিশ।

    গ্রীনলাইন পরিবহনের সেলস ম্যানেজার ইমরান হোসেন জানিয়েছেন, কয়েকদিন পূর্বে  বরিশাল বাস মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক কিশোর কুমার দে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের ওপর বাস দাঁড় করিয়ে যাত্রী তুলতে বাধা দেন। এরপর গ্রীন লাইন কর্মিরা এক শাটার বন্ধ রেখে কাউন্টার থেকে টিকিট বিক্রি এবং কাউন্টারের সামনে থেকে যাত্রী তুলে বাস ছেড়ে যাবার ব্যবস্থা করে। গতকাল সন্ধ্যায় কিশোর কুমারের নেতৃত্বে মালিক ও শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা এসে কাউন্টার থেকে যাত্রীদের বের করে স্টাফদের ভেতরে রেখে তালা দেওয়ার চেষ্টা চালায়। পরবর্তীতে অনুরোধ করে কাউন্টার থেকে সকল স্টাফ বের হওয়ার পর তালা মেরে দেয়। বিষয়টি তারা মালিক পক্ষকে অবহিত করেছেন।

    বন্ধ করে দেয়া একটি পরিবহনের কর্মি নাসির উদ্দিন জানান, মহাসড়কে যানজটের কথা বলা হলেও তারা যেভাবে তাদের কোচগুলোতে যাত্রীদের ওঠানামার ব্যবস্থা করেন এতে বড় কোন সমস্যা হয়ন। তাদের কাউন্টারগুলো টার্মিনালের ভেতরে নিয়ে যেতে বাধ্য করা হচ্ছে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে অনেক- কোচগুলো বিলাসবহুল ও বৃহৎ। এ বাস টার্মিনালের ভেতরে চলাচল সহজ নয়। এছাড়া তাদের পরিবহন গুলোতে সাধারনত প্রথম শ্রেনীর যাত্রীরা চলাচল করেন। তাদের জন্য যে সেবার ব্যবস্থা ও আয়োজন থাকা দরকার তা টার্মিনাল এর ভেতরে নেই।

    আজ বেলা সাড়ে ১১টায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, আকস্মিক এ ঘটনায় সবচেয়ে বেশী ভোগান্তিতে পড়েছে বিলাসবহুল কোচের যাত্রীরা। সুলতানা আহমেদ নামের এক নারী যাত্রী এ পরিস্থিতিতে তার ভোগান্তিতে পড়ার কথা জানান। বলেন- একটু স্বাচ্ছন্দ্যে এবং নিরাপদ চলাচলের জন্য বিলাসবহুল কোচগুলোতে যাতায়াত করেন। এছাড়া পরিবহনগুলোর যাত্রীসেবার মান ভিন্ন সবমিলিয়ে আমরা যাতায়াত করি। এখন কাউন্টার বন্ধ করে দেয়ায় দূরে কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে, বসবো, বিশ্রাম নেবো। প্রক্ষালন সুবিধা পাবো তা নিয়েই বিপাকে পড়ে গেছি।

    এদিকে নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের বাস মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক কিশোর কুমার দে সাংবাদিকদের জানান, টামির্নাল এলাকায় যানজট নিরসনে সিটি মেয়র এবং বিভাগীয় কমিশনার ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তকর্তাদের নির্দেশে কাউন্টার বন্ধ করে টার্মিনালের ভেতরে নিয়ে আসার জন্য বলা হয়। কিন্তু এতে ওই সকল পরিবহন কর্তৃ পক্ষ সাড়া না দিয়ে তারা তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিলো। এতে টার্মিনাল এলাকায় যানজট বেড়ে যাচ্ছিলো। আশা করি এখন টার্মিনাল এলাকা ও মহাসড়কে যানজট কমবে।

    সম্পর্কিত সংবাদ

    সর্বশেষ সংবাদ

    বরিশালে আবাসিক হোটেল পপুলার থেকে ১৬ নারী-পুরুষ আটক

    বরিশাল নগরীর পোর্ট রোড এলাকার একটি আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে ১৬ নারী-পুরুষকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার রাতে নগর‌ীর পোর্ট...