রাসেল মাহমুদ,বরগুনা:বরগুনার বেতাগী উপজেলা ছাত্রলীগের শীর্ষ পদ পেতে নেতাকর্মীদের দৌড় ঝাপ শুরু হয়েছে। এদের মধ্যে সভাপতি ও সম্পাদক পদ প্রত্যাশি দুই নেতার বিরুদ্ধে মাদক ও চুরির অভিযোগ ওঠায় বিষয়টি নিয়ে বইছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়।
তারা হলেন বেতাগী উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল আমিন হাওলাদার ও মো. মেহেদী হাসান সিকদার।
জানা যায়, তাদের মধ্যে সোহেল আমিনের নামে বেতাগী থানায় ২০১৯ সালের ৩ এপ্রিল একটি মাদকের মামলা ও মেহেদী হাসান ওরফে হাসান সিকদারের নামে ২০১৮ সালের ১ জুন একটি চুরির মামলা হয়। এ সব মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি তারা।
এদিকে এ বিষয়টি নিয়ে বর্তমানে বেতাগী উপজেলা ছাত্রলীগের অন্যন্য নেতা কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।
তাদের অভিযোগ, মাদক ও চুরি মামলা আসামি হয়েও সোহেল সভাপতি পদ এবং মেহেদি সম্পাদকের পদ পেতে লবিং ও তদবির শুরু করেছে। ফেসবুকে শুভেচ্ছা পোস্টারও দিয়েছে। এতে উপজেলা ছাত্রলীগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে শীর্ষ পদ প্রত্যাশি অপর এক নেতা বলেন, সুবিধাবাদী একটি চক্র বেতাগী ছাত্রলীগের কমিটিকে কলুষিত করতে মাদক ও চুরি মামলার এজাহারভুক্ত দুই আসামিকে শীর্ষ দুই পদে বসাতে চেষ্টা করছে। যদি এমনটা হয় তবে যোগ্য ও ত্যাগীরা পদবঞ্চিত হবেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সোহেল আমিনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
অপরদিকে অভিযুক্ত মো. মেহেদী হাসান সিকদার মুঠোফোনে বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সত্য না। প্রতিপক্ষরা আমাকে ফাঁসিয়েছিল। কয়েকদিন আগেও আমার উপর হামলা করে মারাত্মক ভাবে কুপিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষরা।
এ ব্যাপারে বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তৌশিকুর রহমান ইমরান বলেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ এবং সংসদ সদস্যের পরামর্শ নিয়ে বেতাগী উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা হবে। কমিটিতে অযোগ্য অথবা চিহ্নিত কোন আসামীকে কোন পদ দেওয়া হবে না।