ডেস্ক রিপোর্ট : প্রতীক পেয়েছেন বরিশাল সিটি নির্বাচনে অংশগ্রহনকারী সকল প্রার্থী। আজ সকাল থেকে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে। প্রতীক পেয়েই প্রচারনায়ও নেমে গেছেন প্রার্থী ও তাদের সমর্থকবৃন্দ। এতে পাল্টে গেছে নির্বাচনের রূপ। ফিরে এসেছে নির্বাচনী উচ্ছাস।
আজ শুক্রবার সকাল থেকে নগরীর নতুল্লাবাদে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে মেয়র পদে ৭, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১১৬ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৪২ প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়।
সহকারী কর্মকর্তা ও মিডিয়া সমন্বয়ক মো. মনিরুজ্জামান জানান, সকাল ১০টায় প্রথমে মেয়র প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়। পরে সংরক্ষিত কাউন্সিলর ও সাধারন কাউন্সিরদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়।
নির্বাচনে একই প্রতীক একাধিক প্রার্থী দাবি করায় সংশ্লিষ্ট প্রার্থীদের মাঝে লটারীর মাধ্যমে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে জানান সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা।
সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা জানান, মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ ওরফে খোকন সেরনিয়াবাতকে নৌকা, জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপসকে লাঙল, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুফতি সৈয়দ মো ফয়জুল করিমকে হাতপাখা, জাকের পার্টির মিজানুর রহমান বাচ্চুকে গোলাপ ফুল, স্বতন্ত্র প্রার্থী আলী হোসেনকে হরিণ, কামরুল আহসান রূপণকে টেবিল ঘড়ি এবং মো. আসাদুজ্জামানকে হাতি প্রতীক বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে।
প্রতীক পেয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী খোকন সেরনিয়াবাত বলেন, “গাজীপুরের নির্বাচনের কোনো প্রভাব বরিশালে পড়বে না। বরিশালের মানুষ আমাকে সৎ ও ভালো মানুষ হিসেবে জানে।
“আমার প্রতি নগরবাসীর আস্থা রয়েছে। আমি নির্বাচিত হলে সিটি করপোরেশনকে উন্মুক্ত করে দেব। সব মানুষের পদচারণা হবে। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে পরামর্শ করে নতুন করে এ শহরকে গড়তে চাই।”
বরিশালকে একটি পরিকল্পিত নগরী হিসেবে গড়ার কথা জানিয়ে জাতীয় পার্টির প্রার্থী প্রকৌশলী ইকবাল হোসেন তাপস বলেন, “গাজীপুরে ৪৮.৫ ভাগ ভোট পড়েছে। আমি আশাবাদী বরিশালে আরও বেশি ভোট পড়বে। মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিতে আসবেন।”
রিটার্নিং কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির বলেন, প্রতীক বরাদ্দের পর প্রার্থীরা আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচার চালাতে পারবেন। ১২ জুন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হবে।
বরিশাল সিটি করপোরেশনে মোট ভোটার সংখ্যা দুই লাখ ৭৬ হাজার ২৯৮ জন। নির্বাচনে ৩০টি ওয়ার্ডে ১২৬ কেন্দ্র ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।