ডেস্ক রিপোর্ট: কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ও প্রবল বৃষ্টির মধ্য দিয়ে শেষ হতে চলেছে বরিশাল সিটি করপোরেশনের ভোট গ্রহন। এদিকে দিনের প্রথমভাগের ভোট মোটামুটি শান্তিপূর্ন হলেও দুপুরের পর ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর মেয়র প্রার্থী মাওলানা ফয়জুল করিম ও তার অনুসারীদের উপর হামলার প্রতিক্রিয়া হিসেবে জোটবদ্ধ হচ্চছেন চরমোনাই পীরের অনুসারীরা। তার নগরীর উপকণ্ঠে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা ও কাশিপুর এলাকায় জড়ো হচ্ছেন। তারা নগরীতে প্রবেশ করে বিক্ষোভ করার চেষ্টায় রয়েছেন। তার প্রতিহত করতে আইন শৃংখলা বাহিনী তৎপর রয়েছেন।
অপরদিকে এ রিপোর্ট লেখার সময় বিকেল সাড়ে ৪টায় পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে অবস্থান নিয়েছে হাতপাখা প্রার্থী ও তাদের সমর্থকেরা। চরমোনাই থেকে কয়েকশত ট্রলার দিকে প্রার্থীর অনুসারীরা বরিশালের দিকে রওয়ানা দেয়ার চেষ্টা করছে। অপরদিকে বরিশালের আইনশৃংখলা পরিস্থিতি রক্ষায় আরও ব্যাপক সদস্যকে নগরীতে মোতায়েন করা হচ্ছে।
সকালে নগরী ৭নং ওয়ার্ডের আছমত মাস্টার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, ২ নং ওয়ার্ডের শেরে বাংলা দিবা নৈশ মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, কাউনিয়া বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে হাতপাখা সমর্থকদের সাথে নৌকার সমর্থকদের বিচ্ছিন্নভাবে হাতাহাতি, পাল্টা পাল্টি হামলার অভিযোগ চলতে থাকে। দুপুরে নগরীর ২২ নং ওয়ার্ডের ছাবেরা খাতুন বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে হাতপাখার প্রার্থী মাওলানা ফয়জুল করিম ও তার অনুসারীদের উপর হামলার অভিযোগ করা হয়। এতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। মাওলানা ফয়জুল করিম বিষয়টি পুলিশ কমিশনার ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেন।
দুপুরে ২টার পর ঘন্টাব্যাপী প্রবল বৃষ্টিতে উত্তেজনা ম্লান হয়ে আসে। অন্যদিকে চরমোনাই পীরের অনুসারীরা বরিশাল নগরীতে প্রবেশ করার পায়তারা করতে থাকে। নগরীর কাশিপুর, বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশ ও আমানতগঞ্জ এলাকায় লাঠিসোটা হাতে জড়ো হতে থাকে অনুসারীরা। নগরীতে আইনশৃংখলা বাহিনীর শক্তি বৃদ্ধি করা হয়েছে। পরিস্থিতি অনেকটা থমথমে।
