রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ চলছে।
বুধবার (২১ জুন) সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিরতিহীনভাবে চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত ও ১৪ দল সমর্থিত মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন (নৌকা), জাতীয় পার্টি (জাপা) মনোনীত সাইফুল ইসলাম স্বপন (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত মাওলানা মুর্শিদ আলম ফারুকী (হাত পাখা) ও জাকের রহমান। . দলীয় মনোনীত প্রার্থী লতিফ আনোয়ার (গোলাপফুল)।
নির্বাচন কমিশনের তথ্যমতে, ৯৬ দশমিক ৭২ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এ সিটিতে মোট ভোটার ৩৫১ হাজার ৯৮২ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ১ লাখ ৮০ হাজার ৮০৯ জন এবং পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৭১ হাজার ১৬৭ জন। তবে তৃতীয় লিঙ্গ জনগোষ্ঠীর ভোটার রয়েছেন ৫০ জন। এবার নতুন ভোটার ৩০ হাজার ১৫৭ জন।
রাজশাহীর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও রাসিক নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন জানান, সিটি নির্বাচনে প্রথমবারের মতো ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হচ্ছে।
সিলেট: সিলেট সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী ড. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী (নৌকা), জাতীয় পার্টির নজরুল ইসলাম বাবুল (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাহমুদুল হাসান (হাত পাখা), জাকের পার্টির মো: জহিরুল আলম (গোলাপ), স্বতন্ত্র মোহাম্মদ আবদুল হানিফ কুটু (ঘোড়া), স্বতন্ত্র মো: ছালাহ উদ্দিন রিমন। (ক্রিকেট ব্যাট), স্বতন্ত্র মোঃ শাহজাহান মিয়া (বেস), প্রাইভেট মোশতাক আহমেদ রউফ মোস্তফা (হরিণ)।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নগরীতে মোট ভোটার ৪ লাখ ৮৬ হাজার ৬০৫ জন। মেয়র পদে ৮ জন, সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ২৭৩ জন এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৮৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ১৯০টি কেন্দ্রে মোট ১ হাজার ৩৬৪টি ভোট কেন্দ্র রয়েছে।
সিলেট মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ (ঝুঁকিপূর্ণ) ভোট কেন্দ্রের তালিকা তৈরি করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ওই তালিকা অনুযায়ী, ১৯০টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৩২টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ। নগরীর ১৮টি ওয়ার্ডের সব কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বাকি ৫৮টি কেন্দ্রকে স্বাভাবিক (ঝুঁকিমুক্ত) হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।