বরিশাল সংবাদ দাতা ঃ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের কর্মবিরতি দ্বিতীয় দিনে গড়িয়েছে।এ অবস্থায় কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পদচারণা বিহীন স্থবির হয়ে পড়েছে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ। নেই শিক্ষার্থীদের কোলাহল পূর্ণ বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ। শিক্ষকদের দশম গ্রেডে বেতন ভাতা সহ তিনটি দাবিতে ঢাকায় রাজপথে চলমানের আন্দোলনের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে বাকেরগঞ্জের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে চলছে সহকারী শিক্ষকদের কর্মবিরতির দ্বিতীয় দিন।
কর্ম বিরতির প্রথম দিনে বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থী উপস্থিতি থাকলেও দ্বিতীয় দিনে অনেক কমে গেছে। উপজেলার বেশ কয়েকটি স্কুল ঘুরে দেখা গেছে শুধুমাত্র মহিলা সহকারী শিক্ষকগণ লাইব্রেরিতে বসে আছে। মিডিয়াকর্মী দেখে অনেকে আবার কর্মবিরতি লেখা প্লাকার্ড হাতে নিয়ে ছবি তুলতে ব্যস্ত।
এদিকে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের তৃতীয় প্রান্তিক মূল্যায়ন পরীক্ষা আরম্ভ হবে ঠিক এমন মুহূর্তে শিক্ষকদের দাবী আদায়ে রাজপথের সক্রিয় আন্দোলনে শিক্ষার্থীর অভিভাবকেরা শঙ্কিত।
এ ক্ষেত্রে শিক্ষকদের চলমান এ আন্দোলনের বিষয়ে ছাত্র- ছাত্রীর অভিভাবকদের সাথে আলাপ করলে তারা বলেন, বিদ্যালয়ের প্রাণ হল ছাত্র – ছাত্রী, তাদেরলেখা পড়ার মান উন্নয়নই এক জন আদর্শ শিক্ষকের মুল দায়িত্ব। সেই দায়িত্ববোধ মূল দাবি আদায়ের আন্দোলনে অংশ গ্রহন করা গ্রহণ। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের লেখা পড়ার যেন বিঘ্ন না ঘটে সেদিকে লক্ষ্য রাখা দরকার।
