আগৈলঝাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধিঃ অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা সহোদর চার প্রবাসীর যৌথ পরিবারের ৪ সদস্যকে অচেতন করে নগদ সাড়ে ৭ লাখ টাকা, ১২ ভরি স্বর্ণালংকার, ৩টি মোবাইল ফোনসহ সাড়ে ২০ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে। বুধবার রাতে আগৈলঝাড়া উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের গোয়াইল গ্রামের ইরাক প্রবাসী বাহাদুর মৃধার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। ওই দিন রাতে ওই বসত ঘরে প্রবাসীর মামা, মামী, খালা, শাশুড়ি রাত যাপন করলে তারাও অচেতন হয়ে পড়ে। অচেতন অবস্থায় ওই পরিবারের ৪ সদস্যসহ ৮ জনকে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রবাসীর মামা গিয়াস উদ্দিন হাওলাদার বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে আগৈলঝাড়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
ভুক্তভোগী পরিবারের মামা গিয়াস উদ্দিন হাওলদার বলেন, আমার তিন ভাগ্নে ইরাক ও ছোট ভাগ্নে দুবাই প্রবাসে থাকেন। পুরুষ শুন্য বাড়িতে বুধবার রাত ১১টার দিকে ওই পরিবারের ৪ নারী রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। পরদিন সকাল ৬টার দিকে ৩ শিশু সন্তান জেগে কান্নাকাটি শুরু করে। এ সময় বাড়ির সংলগ্ন রাস্তা দিয়ে আমি বাজারে যাওয়ার সময় কান্নাকাটি শুনে ডাকাডাকি করলে কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করি। এ সময় দেখি ঘরের সামনের দরজা খোলা ও দরজার পাশে সিঁধ কাটা রয়েছে। তখন আমি ডাকচিৎকার করলে প্রতিবেশীরা ছুটে আসলে ঘরে ঢুকে প্রবাসী বাদাদুর মৃধার মা সেলিনা বেগম (৫৫), স্ত্রী আয়শা বেগম (২৮), মেঝ ভাইর স্ত্রী লাকি বেগম (২৫), সেজ ভাইর স্ত্রী লামিয়া বেগম (২৪)কে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করি।
তিনি আরও বলেন, আমার ধারনা অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা রাতের খাবারের সাথে চেতনানাশকদ্রব্য মিশিয়ে রাখে। ওই খাবার খেয়ে প্রবাসীর পরিবারের ৪ সদস্য অচেতন হয়ে পড়লে অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা সিঁধ কেটে ঘরের ভেতরে ঢুকে ১টি আলমারী ও ১টি সুকেজ ভেঙ্গে ১২ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ সাড়ে ৭ লাখ টাকা, ৩টি মোবাইল ফোন, বিদেশী টর্চলাইট, ১টি ব্লেন্ডারসহ ২০ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এদিকে ওই ঘরে রাত যাপন করলে প্রবাসীর মামা কাশেম হাওলাদার (৫০), মামী বকুল বেগম (৪৭), খালা নুরজাহান বেগম (৬০), প্রবাসী শাশুড়ি ফেরেজা বেগম (৫৮) অচেতন হয়ে পড়ে। তাদেরকে একই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্ষে ভর্তি করা হয়েছে। আগৈলঝাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মাজাহারুল ইসলাম বলেন, এ ব্যাপারে আমরা একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।